ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গানের দল মেঘদলের বিরুদ্ধে করা মামলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেন।
এর আগে ২৮ অক্টোবর মেঘদলের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশের জন্য রোববার মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন বিচারক।
মামলায় মেঘদলের ভোকাল শিবু কুমার শিল, মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটারিস্ট ভোকাল রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটারিস্ট এম জি কিবরিয়া, ড্রামার আমজাদ হোসেন, কিবোর্ডিস্ট তানভির দাউদ রনি, বাঁশিবাদক সৌরভ সরকারকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী নিজে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে ইমরুল হাসান জানান, ২৬ অক্টোবর তিনি বাসায় অবস্থানের সময় সকাল ৭টার দিকে ইউটিউবে এ ঢোকেন। বিভিন্ন ভিডিও দেখার সময় দেখতে পান প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর একটি দোয়া বা ইসলামি প্রার্থনা তথা তালবিয়া নিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ বাদ্যবাজনা তথা আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে বিকৃত সুরে গান আকারে গাওয়া হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসিতে ভাস্কর্যের সামনে করা এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, পবিত্র কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়। এ গান তার ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এজন্য তিনি মামলার আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেঘদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বলে জানান ইমরুল হাসান। পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় তিনি কদমতলী থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।