ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌকার সঙ্গে যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর নিখোঁজ স্পিডবোটচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
অন্য দুজনকে ঘটনার পর উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর সময় মারা যান তারা।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মরিচাকান্দি লঞ্চঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন যাত্রী।
নিহতরা স্পিডবোটচালকের নাম রুবেল মিয়া। তার বাড়ি উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামে।
নিহত অপর দুজন হলেন উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জুয়েল এবং নরসিংদী সদর উপজেলার সঙ্গীতা এলাকার ফরিদ মিয়া।
আহতরা হলেন পল্লী বিদ্যুতের বাঞ্ছারামপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আহমেদ শাহরিয়ার, ফুটবল খেলোয়াড় সুমন সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দা রাকিব মিয়া। তাদের মধ্যে আহমেদ শাহরিয়ারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঞ্ছারামপুর নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ দাওদ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী থেকে ১২ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট বাঞ্ছারামপুরের মরিচাকান্দির উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ৮টার দিকে মরিচাকান্দি লঞ্চঘাটের সামনে মেঘনা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী নৌকার সঙ্গে স্পিডবোটটির সংঘর্ষ হয়।
এ সময় এলাকাবাসী নদী থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মাহবুবুর রহমানকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান। আর ফরিদ মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে স্পিডবোটচালক রুবেল নিখোঁজ ছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেও রুবেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। রোববার দুপুরে রুবেলের মরদেহ ঘাট এলাকা থেকেই উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
এসআই দাওদ জানান, ঘটনার পর পালিয়ে যায় বালুবাহী নৌকাটি। সেটি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।
রুবেলের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।