শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে প্রতিটি কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘আত্মহত্যা খুবই দুঃখজনক। আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ থাকে। এ জন্য কারণ জানা দরকার। শুধু করোনার কারণে যে আত্মহত্যা হচ্ছে, সেটি বলা ঠিক না। আমাদের উচিত প্রতিটি মৃত্যুর কারণ ভালোভাবে খতিয়ে দেখা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বহু কারণ থাকতে পারে।’
রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানের আদিকথা’ নামের বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা জানান।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। গত তিন মাসে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েই চার শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
প্রকাশনা উৎসবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময় অনেক পরিবারে অর্থনেতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটা ঠিক। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এ জন্য দুই লাখ শিক্ষকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।’
পরীক্ষা নিয়ে যেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি না হয় সেই আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘পরীক্ষা থাকবে কিন্তু সেটা যেন বোঝা না হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতিতে ফেলা যাবে না। এ বিষয়ে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। মূল্যায়ন হবে, তবে সেটা যেন প্রতিযোগিতা না হয়।’
সোমবার প্রায় পাঁচ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে।
তাদের টিকার নিবন্ধনে জটিলতার বিষয়ে প্রশ্ন করা করা হলে দীপু মনি বলেন, ‘স্কুল থেকে শিশুর জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে টিকার রেজিস্ট্রেশন করবে। এটাই নিয়ম।’
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরির স্কুলে ভর্তির শর্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ওজন ও উচ্চতা নির্ধারণ কাম্য নয়। এটি আমার জানা ছিল না। কোনো অসম প্রতিযোগিতা যেন না হয়, তাই আমরা লটারিরর মাধ্যমে ভর্তির ব্যবস্থা করেছিলাম। এ ছাড়া রোল নম্বর ধরে যেন ডাকা না লাগে, তাই ইউনিক আইডির ব্যবস্থা করছি।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী যেন অতিরিক্ত ওজনের না হয়ে যায়, সে জন্য বিদ্যালয় নিশ্চয়ই কাজ করবে। তবে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের নিয়ম কাম্য নয়। এটা তো সেনাবাহিনী নয়।’
৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কবে শেষ হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হলেই নিয়োগ দেয়া হবে। এ জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’