অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২৫ নভেম্বর সাক্ষ্য নেয়ার তারিখ ঠিক করে।
অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা মো. রাজু।
তিনি জানান, এর আগে ১৭ অক্টোবর দুদক এবং আসামিপক্ষ অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ করে। এরপর আদালত আদেশের জন্য এই তারিখ রাখে।
এদিন সেলিম প্রধানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক আসামির কাছে জানতে চান, তিনি দোষী না নির্দোষ। এ সময় সেলিম প্রধান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়।
মামলায় দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে সেলিম প্রধানের পক্ষে আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম অনি অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি করেন।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। এতে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। পরে তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যায়।
ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।
মামলাগুলোয় সেলিম প্রধানকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এ মামলায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।