নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছায়েদ ভূঞা রিপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এমদাদুল হক রোববার সকাল ১০টার দিকে এ আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ওই আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
কারাগারে পাঠানো ওই আসামির নাম রাশেদুজ্জামান অন্তর। তার বাড়ি উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের তালুয়া চাঁদপুর গ্রামে। তিনি নিহত রিপনের প্রতিবেশী।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম।
এসপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রিপন হত্যার ঘটনায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি শহিদুল। এরপরই তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত জানানো হবে।’
- আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি জানান, নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার গত শুক্রবার বিকেলে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত-আটজনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শনিবার সকালে অন্তরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালে বেগমগঞ্জের মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের বাদী গাছতলা এলাকা থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ ভূঞা রিপনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক জানান, গত বুধবার রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা রিপনকে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আরেকটি বাড়ির সামনে ফেলে যায়।
রিপনের ছেলে ইমরান হোসেন জানান, লাল সবুজ বাস পরিবহনের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা বাস কাউন্টারের ম্যানেজার ছিলেন তার বাবা। বুধবার রাতে কাউন্টার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি (রিপন)। তার সঙ্গে আড়াই লাখ টাকা ছিল।
ইমরান বলেন, ‘আমার অসুস্থ কাকার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তার চিকিৎসার আড়াই লাখ টাকা বাবার সঙ্গে ছিল। ওই টাকাও সন্ত্রাসীরা লুটে নেয়।’