বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্লাডলাইট বন্ধ দেড় যুগ, মাসে বিল দেড় লাখ টাকা

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ১২:২৫

নেসকো কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামের লাইন সাপ্লাই দেয়া হয়েছে কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ থেকে। সেখান থেকে জেলা স্টেডিয়ামকে ৪০০ কিলোওয়াট ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে ১০০০ কিলোওয়াট লোড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত বাড়তি বিল দিতে হয় তাদের।

রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম ও শহীদ কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট দেড় যুগ ধরে বন্ধ। তবে প্রতি মাসে এই দুই স্টেডিয়ামকে গুনতে হচ্ছে দেড় লাখ টাকার মতো বিল। বাড়তি লোড নিয়ে রাখার কারণে বাতি না জ্বললেও বড় অঙ্কের বিল হচ্ছে বলে জানায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) তথ্য মতে, প্রতি মাসে দুই স্টেডিয়ামের বিল আসে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতিবছর শোধ করতে হয় ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

নেসকো কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামের লাইন সাপ্লাই দেয়া হয়েছে কোম্পানির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩ থেকে। সেখান থেকে জেলা স্টেডিয়ামকে ৪০০ কিলোওয়াট ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে ১০০০ কিলোওয়াট লোড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ জন্য নির্ধারিত বাড়তি বিল দিতে হয় তাদের।

শহীদ কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের পর আর ফ্লাডলাইট জ্বলেনি। অথচ এই সাড়ে ১৭ বছরে এ বাবদ বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়েছে।

রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার তথ্য মতে, ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভেন্যু ছিল বিভাগীয় স্টেডিয়াম। তখন প্রয়োজন পড়ায় ফ্লাডলাইট বসানো হয়। সে বছরের ৫ মার্চ খেলা শেষ হওয়ার পর থেকে আর জ্বলেনি ফ্লাডলাইটগুলো।

জেলা স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট বসানো হয় ২০০০ সালের আগেই। তবে এর নির্দিষ্ট সময় জানাতে পারেননি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওহাদেন্নবী অনু। তিনি জানান, এই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের একটি ৬ থেকে ৭ বছর আগে ঝড়ে ভেঙে পড়ার পর আর মেরামতও করা হয়নি।

নেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতি:) শরিফুল আওলাদ বলেন, ‘জেলা স্টেডিয়াম ৪০০ কিলোওয়াট ও বিভাগীয় স্টেডিয়াম ১০০০ কিলোওয়াট লোড নিয়ে রেখেছে। বিভাগীয় স্টেডিয়ামে এই লোডের জন্য প্রতি মাসের মিনিমাম মিটার চার্জ এক লাখ টাকা। এ ছাড়া জেলা স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার টাকা প্রতি মাসে বিল আসে।

‘লোড নিয়ে রাখার কারণেই প্রতি মাসে তাদের এই বিল দিতে হচ্ছে। ব্যবহার না করলেও তাদের এই বিল দিতে হবে। ব্যবহার করলে বিলের পরিমাণ বাড়বে। এখন পর্যন্ত তারা এই আনুপাতিক হারে বিল দিয়ে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক (চলতি দায়িত্বে) নাসির উল্লাহ্ বলেন, ‘আমাদের ফ্লাডলাইট বন্ধ আছে। এটি ক্রিকেট বোর্ডের আন্ডারে। তাদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। বিলও তারাই পরিশোধ করে। এক সময় বিল ২২-২৩ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে ছিল। তবে ক্রিকেট বোর্ড পুরোটা পরিশোধ করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বোর্ডকে বলেছিলাম প্রয়োজন না হলে ফ্লাডলাইটের লাইন যেন কেটে দেয়, কিন্তু তারা কাটেনি। হয়তো আইসিসির কাছে এখানকার ফ্লাডলাইটের প্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্য দেয়া আছে। এ জন্যই বোর্ড আপাতত বন্ধ করতে চাচ্ছে না।

‘যেকোনো সময় আন্তর্জাতিকমানের খেলা শুরু হলে আবার ফ্লাডলাইট চালু হয়ে যাবে। এভাবেই চট্টগ্রাম ও সিলেটে চালু হয়েছে।’

ফ্লাডলাইটগুলো সচল আছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে জ্বালানো হয়। ৩-৪টার তার কাটা আছে। আসল কথা হলো এই লাইটগুলো এখন চলে না। এখন এলইডি লাইট হয়ে গেছে। এখান থেকে কিছু লাইট নিয়ে চট্টগ্রামেরটা রেডি করেছে। ক্রিকেট বোর্ড এটাকে ভেন্যু করলেই এটি সচল হয়ে যাবে।’

রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওহাদেন্নবী অনু বলেন, ‘স্টেডিয়ামের একটি ফ্লাডলাইট ৬-৭ বছর আগে ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল। পরে চট্টগ্রামে লাইটের সমস্যা হলে ৫-৬ বছর আগে এখন থেকে ওই লাইটগুলো খুলে নিয়ে যায়। একটি ফ্লাডলাইটের স্থাপনায় ফাটলও ধরেছে।’

বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এনএসসি থেকেই এটি পরিচালিত হয়। তাদের কাছে আমরা লোড কমানোর জন্য চিঠি দিয়েছি। যেহেতু প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই লোড ক্যাপাসিটি ১০০ কিলোওয়াটে নামিয়ে দেয়ার জন্য বলেছি। আমাদের জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবশেষ দুই মাস আগে আমরা চিঠি দিয়েছি। নষ্টটি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত লোড কমানোর জন্য।

‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয় খুব কম। আশা করছি, খুব দ্রুতই বিল কমানোর বিষয়টি সমাধান হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর