মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে পানিতে আংশিক ডুবে থাকা আমানত শাহ ফেরিটিকে উদ্ধারে বেসরকারি সহযোগিতা নেয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
কর্মকর্তারা বলছেন, ফেরিটি উদ্ধারের সক্ষমতা নেই সরকারি সংস্থাটির।
দুর্ঘটনার চার দিনের মাথায় ঘাটে উদ্ধার অভিযান শেষে ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। কর্মকর্তারা জানান, পানিতে তলিয়ে থাকা ফেরির সব যানবাহন উদ্ধার করা হয়েছে। এ কারণে ফেরি পানিতে রেখেই শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, আমানত শাহ ফেরির স্বাভাবিক সময়ের ওজন ৬০০ টন। কয়েক দিন পানিতে আংশিক ডুবে থাকায় এর ওজন হয়েছে প্রায় এক হাজার টনের মতো। পাটুরিয়া ঘাটে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও প্রত্যয়ের সক্ষমতা ৬০ টনের মতো।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার কমান্ডার সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজের যে ক্ষমতা আছে, তাতে উল্টে যাওয়া আমানত শাহকে উদ্ধার করা সম্ভব না। আমানত শাহকে উদ্ধার করতে হলে আরও শক্তিশালী জাহাজ দরকার। কারণ আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও প্রত্যয় দিয়ে কাজ করলেও কাজ হবে না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ফেরি উদ্ধারে যেহেতু আমাদের সক্ষমতায় কাজ হচ্ছে না, সেহেতু এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার ওপর অপেক্ষা করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদিক বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে সব চেষ্টা করা হবে। যদি আমাদের সক্ষমতায় কাজ না হয়, প্রয়োজনে বেসরকারি সহায়তা নেয়া হবে।’
গত বুধবার সকালে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে আমানত শাহ ফেরিটি কাত হয়ে আংশিক ডু্বে যায়। পানিতে পড়ে যায় ফেরিতে থাকা ১৪টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান এবং সাত থেকে আটটি মোটরসাইকেল।