দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শিল্প পুলিশ এখন শ্রমিকদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ও বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
বেনজীর বলেন, ‘এতদিন আমরা বিশাল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেছি। বিশেষ করে বিদেশি অর্থে লালিত এনজিওরা ভেজাল লাগানোর চেষ্টা করছিল। পশ্চিমা অর্থপুষ্ট এনজিওরা খুবই তৎপর ছিল, এখানে যেন শিল্প পুলিশ না হয়।
‘একসময় শ্রমিক ভাইয়েরা মনে করতেন, এটা একটা ঠ্যাঙানো বাহিনী বানানো হচ্ছে। বিষয়টা এখন দেখি উল্টো, শ্রমিকদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে শিল্প পুলিশ। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সুসমন্বয় এবং শিল্পের বন্ধন তৈরির জন্য শিল্প পুলিশ কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মালিক ও শ্রমিকের প্রয়োজন অনুযায়ী শিল্প পুলিশ শিল্প সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। যার ফলে আজ আমাদের এক্সপোর্ট ৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেন, ‘দেশটা আমাদের। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দায়িত্ব প্রত্যেকের। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এই অঞ্চলে ইকোনমিক পাওয়ার হাউস হতে চাই। ইকোনমিক পাওয়ার হাউস হতে হলে ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যেকে হাতে হাত রেখে ইস্পাত ঐক্য করতে হবে। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুর আর আশুলিয়ার মধ্যেই আমাদের শিল্পাঞ্চল সীমাবদ্ধ নয়। সব জায়গায় শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণের জন্য এই শিল্প পুলিশের সম্প্রসারণ দরকার। শিল্প পুলিশের জন্য বাজেট ১৩৬ কোটি টাকা। আমরা এত বড় যজ্ঞ প্রোটেকশন দিচ্ছি মাত্র ১৩৬ কোটি টাকা দিয়ে।
‘এ জন্যই বলছি, আমাদের ফোর্স, ইকুইপমেন্ট, লজিস্টিক বাড়ানো দরকার। আমাদের মাত্র ছয়টা ব্যাটালিয়ন। এর মধ্যে আবার ম্যানপাওয়ার ঠিক নেই। কোনো ব্যাটালিয়নে সাড়ে সাত শ লোক, কোনোটায় সাড়ে তিন শ। এটারও একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত।’