বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার: তদন্তে নির্বাচন কমিশন

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৩৭

২৭ অক্টোবর প্রতীক দেয়ার দিন চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতি ওয়ার্ডে একজন ছাড়া সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র তাদের অজান্তে প্রত্যাহারের অভিযোগ ওঠে। প্রার্থীরা জানান, তারা আবেদন করেননি, তাহলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হলো কীভাবে তারা বুঝতে পারছেন না।

শরীয়তপুরে চিতলিয়া ইউপি নির্বাচনে স্বাক্ষর জাল করে ৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার ওই চিঠি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পৌঁছায়।

চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে কত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

২৭ অক্টোবর প্রতীক দেয়ার দিন চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতি ওয়ার্ডে একজন ছাড়া সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র তাদের অজান্তে প্রত্যাহারের অভিযোগ ওঠে।

ওই ইউপিতে ৯ ওয়ার্ডে সদস্য পদে মনোনয়নপত্র তোলা ৪৮ প্রার্থীর মধ্যে প্রত্যাহার হয় ৩৯ জনের। আর সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়।

নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠি

প্রার্থীরা জানান, কোনো কাগজে সই করেননি, তবে কীভাবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হলো তারা জানেন না। নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রতীক চাইতে গেলে তিনি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান।

আরও পড়ুন: প্রার্থীদের অজান্তে এমপির নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার!

এ বিষয়ে তার কিছু করণীয় নেই বলেও জানান নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর নির্দেশ পেয়ে নির্বাচন কার্যালয় থেকে এটি করা হয়েছে। প্রার্থীদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কথোপকথনের একটি ভিডিও নিউজবাংলা হাতে পায়।

ওই ভিডিওতে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রার্থীদের বলেন, ‘এমপি স্যার বলেছেন, চিতলিয়া ইউনিয়নে কোনো নির্বাচন হবে না। সিলেকশন হবে।’

নিউজবাংলার প্রতিবেদকের কাছে অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেন নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। কোন প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করেছেন, তা নিশ্চিত নন বলে দাবি করেন তিনি।

সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন কোনো কিছু আমি বলতে পারি না। এ বিষয়ে আমার কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর