পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয় কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘এই যে গায়ের জোরের সরকার দেশ চালাচ্ছে। এই ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাতে হলে বিরোধী মত যারা প্রকাশ করে তাদের যেভাবেই হোক, দমিয়ে রাখতে হবে। এই অন্যায়কারী, নির্যাতনকারী, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার টিকে থাকতে হলে বিরোধী মত যারাই করবে, তাদের কণ্ঠ চেপে ধরতে হবে।
‘এর প্রক্রিয়া হিসেবে আপনারা দেখেছেন, এ দেশে হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে আইন-আদালতে ফাঁসি দেয়া, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কি হয় নাই? যদি কেউ অন্যায় করে তাকে গ্রেপ্তার করবেন, বিচার করবেন।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন: প্রেক্ষিত ২৮ অক্টোবর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, ‘আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার যে ঘটনা, বিস্তারিত না বললেও সবাই বোঝে সরকারের প্ররোচনায় এটি একটি গোষ্ঠীকে দিয়ে এই ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে।
‘আজকে বাংলাদেশের অবস্থা এমন যে, একটি থানার ওসি একটা জিডি নিতে সাহস পায় না, যদি না আওয়ামী লীগের এমপি-চেয়ারম্যানরা না বলে।’
তিনি বলেন, ‘সেই কুমিল্লার ওসি কোরআন শরিফকে মিডিয়ার সামনে দেখাচ্ছে এবং এটা ভাইরাল করে দিচ্ছে। একটা ওসি ওপরের থেকে নির্দেশিত না হয়, তবে এই কাজ করতে পারে না। সরকারের প্ররোচনায় এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে জনগণ বুঝতে পারছে এই সরকার থাকলে এখানে কোনো ন্যায়বিচার হবে না। এখানে কোনো গণতন্ত্র থাকবে না। সাংবাদিকরা কথা বললে তাদের জেল খাটতে হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৮১ বার পিছিয়েছে, তারা মামলার কাগজ প্রস্তুত করতে পারে না। অথচ জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হলে তিন দিনে চার্জশিট দিয়ে পঞ্চম দিন থেকে বিচার শুরু করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বোঝানোর কিছু নাই। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে কারা। একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট হচ্ছে আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা, আওয়ামী সমর্থিতরা।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ অনেকে।