বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মন্ত্রণালয়ের নথি উধাওয়ের সঙ্গে শাসকদের তুলনা ফখরুলের

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৪

নথি উধাও নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জানালেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া গেছে; শাহবাগ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের শাসকদের এবং শাসনব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি উধাওয়ের ঘটনার সঙ্গে বর্তমান শাসনক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের তুলনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

হোটেল সোনারগাঁওয়ে শনিবার দুপুরে ‘অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’ নামের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তুলনা করেন।

নথি উধাও নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একজন সাংবাদিক আমাকে জানালেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি খোয়া গেছে; শাহবাগ থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের শাসকদের এবং শাসনব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র। একটা নয়, প্রত্যেকটি জায়গায় চরম নৈরাজ্য চলছে। লক্ষ্য একটিই, কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।

‘মানুষের কল্যাণ, দেশের কল্যাণের দিকে কারও নজর নেই। আমরা করোনার সময় দেখেছি, ভয়াবহ অবস্থা, মানুষের আহাজারি। সেই সময় দেখেছি কী করে তারা অর্থ উপার্জন করবেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির ড্রাইভার ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এই যে একটা অবস্থা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ১৬৯ জনকে এক রাতে নিয়োগ দিলেন। উদ্দেশ্য কিছু উপার্জন করা। এই যে একটা সমাজ আমরা তৈরি করেছি, এই সমাজ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করা খুব কঠিন।’

স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষে (ভবন নং-৩, কক্ষ নং-২৯) ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার এবং সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকার হেফাজতে থাকা ১৭টি ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

‘শিক্ষকদের সম্মান ছিল’

অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সময় শিক্ষকদের একটা সম্মান ছিল। আনোয়ারউল্লাহ সাহেবরা যখন হেঁটে আসতেন, তখন শিক্ষার্থীরা মাথা নত করে সম্মান জানাত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বক্তব্য যখন শুনি, তখন লজ্জা হয়। ৫০ বছরে আমরা এমন একটা শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করলাম যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমার লোক হতে হবে। ‘হয়তো আমার এ কথায় অনেকে কষ্ট পাবেন, কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমরা এ রকম একটা ব্যবস্থায় চলে গেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কৃতিত্ব সেই জায়গায় যে, এই দুঃসময়ের মধ্যেও তিনি হতোদ্যম হননি। তিনি তার কাজ করে চলেছেন। এখানেই তার সফলতা। আমি এই গুণীজনদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কারণ তারা এখনও আমাদের আশার আলো দেখান।’

বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা আ ন ম এহসানুল হক মিলন, ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ হায়দারসহ অনেকে।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক ও কবি আবদুল হাই সিকদার।

এ বিভাগের আরো খবর