ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কফিল উদ্দিনের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান সোরহাবসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সুয়াপুর ইউপি কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কফিলের ছেলে হালিম, মোমিনসহ এক পক্ষের সাতজন আহত হন।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর, সাগর, পলাশ, সাকিমুদ্দিন, মাসুদসহ আটজন আহত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সাকিমুদ্দিন জানান, দুপুরে ইউপি কার্যালয় থেকে তারা প্রার্থী হাফিজুরসহ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন৷ এ সময় পেছন থেকে নৌকার সমর্থকরা দেশী অস্ত্র নিয়ে তাদের গাড়িবহরে হামলা চালান। এতে হাফিজুরসহ আটজন আহত হন। প্রার্থীকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
নৌকার প্রার্থী কফিলের ছেলে মো. হান্নান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনি প্রচারণা করছিলাম। এ সময় হাফিজুরসহ তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে আমার ভাই হালিমের একটি আঙুল কেটে পড়ে গেছে। আরও ছয়জনকে মেরে আহত করা হয়েছে।’
ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা বেগম বলেন, ‘ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি৷ পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পুলিশ অবস্থান করছে।’