পুলিশ বাহিনী সরকারের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। জানিয়েছেন, এসব মারধরে বিএনপি কর্মীদের দমানো যাবে না; বরং তাদের শক্তি আরও বাড়বে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার ও পুলিশের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই অত্যাচার-অনাচার করে ক্ষমতায় বেশি দিন টেকা যাবে না। সুতরাং আপনিও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। যত পেটান, যত মারেন, আমাদের কর্মীদের ক্ষমতা বাড়বে।
‘আপনারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী, আওয়ামী লীগের না। আপনাদের ঘরেও সন্তান আছে, যাদের গায়ে হাত তোলেন ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের গায়ে কেউ হাত তুললে কেমন লাগবে। আমাদের টাকায় গুলি কিনছেন, আমাদের মারছেন। একসময় আসবে এই সরকারের পতন ঘটবে, তখন এই সরকারের একজনও মাঠে নামার সাহস পাবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান নাকি লন্ডনে বসে এসব মামলা হামলা পরিচালনা করছেন। তিনি যদি লন্ডন থেকে এসব পরিচালনা করতে পারেন তাহলে দেশে এলে কী করবেন। সুতরাং কথা বলার সময় বুঝেশুনে কথা বলবেন। আমরাও কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকি না।’
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা করাতে সরকার বাধা দিচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিদেশ যাওয়ার ভিসা পাচ্ছেন না।…দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার ভিসা হয় না। তার অপরাধ, তিনি এ দেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, এ দেশের গণমানুষের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: নিউজবাংলা
দেশে সাম্প্রতিক সময়ের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়েও কথা বলেছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। এ বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা তুলে বলেন, ‘এই বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় তিন-তিনবার পূজা আর রোজা একসঙ্গে হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখেছিলেন।
‘তখন কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি। এই সরকার উসকানি দিয়ে সাম্প্রতিক দাঙ্গা লাগিয়ে তারা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন তারা অসাম্প্রদায়িক। এটা প্রমাণ করে তারা ক্ষমতা থাকতে চাচ্ছেন, এটা আমরা হতে দেব না।’
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম একবার বাড়বে একবার কমবে, এটাই নিয়ম, কিন্তু বাংলাদেশে যখন বাড়ে তখন আর কমে না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। কারণ, সিন্ডিকেট করে তারা (আওয়ামী লীগ) টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করে।’