গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মামলার বাদীর সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ’ অবস্থায় আটক পুলিশের সেই সহকারী উপপরিদর্শকে (এএসআই) প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান শনিবার দুপুরে পৌনে ১টায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রামে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক হন তোফাজ্জল।
৩৮ বছরের তোফাজ্জল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাকে দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। খবর পেয়ে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয় গ্রামবাসী।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক প্রতিবেশী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই নারীর ভাশুরের সঙ্গে তার স্বামীর জমি নিয়ে বিরোধ হয়। স্বামী প্রবাসে থাকায় এই ঘটনায় ভাশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান এএসআই তোফাজ্জল। তদন্তের খাতিরে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল তার। সেই থেকে তাদের সখ্য গড়ে ওঠে।’
তবে বাদী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তোফাজ্জলের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় থাকায় রাতে খেতে ডেকেছিলেন। গ্রামবাসী তোফাজ্জলকে গোয়ালঘর থেকে নয়, বাড়ি থেকে আটক করে।
ওসি আবদুল্লাহিল জামান বলেন, ‘অভিযুক্ত এএসআইকে সাময়িকভাবে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।