বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন বাতিল হয়নি, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৫৯

মন্ত্রী বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমানোর অংশ হিসেবে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছে সরকার। এ ছাড়াও ৬টি প্রকল্প থেকে সরে এসেছে, তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হয়নি। এটি অত্যন্ত আধুনিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এতে কার্বন নিঃসরণের হার অত্যন্ত কম।’

দেশের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হলেও রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন বাতিল করা হয়নি, সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সফরের বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘রামপালের বিষয়ে বলি, এটা অত্যন্ত অত্যাধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর যে ধোঁয়া, এটি ২০০ ফিট উপরে যায়; পয়েন্ট জিরো টু পারসেন্ট, যেটি অত্যন্ত কম কার্বন নিঃসরন। ভয়টা হচ্ছে যখন কয়লাটা আনবে সেটা যদি কোনোভাবে নদীতে পড়ে যায় তখন পলিউশন হবে।

‘সেখানে যে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বা অন্য ফ্যাক্টরি আছে তারা যে কার্বন তৈরি করে তার চেয়ে রামপাল কম করে। সুতরাং এটা নিয়ে হইচই বেশি হয়, কিন্তু দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’

কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব অ্যাগ্রেসিভ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যেটি মুজিব প্রোসপারিটি প্ল্যান হিসেবে পরিচিত। আমরা সারা দেশে ৩ কোটি গাছ লাগাচ্ছি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ ভাগে বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছি।

‘বাংলাদেশে সারা বিশ্বের কাছেই একটি বার্তা দিয়েছে…১০টা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার কথা ছিল। আমরা সেগুলো বাতিল করেছি। পৃথিবীর এটা দেখা উচিত। এতে আমার ১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নষ্ট হলো। আরও ছয়টি কেন্দ্র যেগুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিল, সেগুলোও নাকচ করে দিয়েছি। পৃথিবীকে বাঁচাতে আমরা এ রকম বড় উদ্যোগ দিয়েছি। অন্যদেরও এটি দেখা উচিত। আমরা চাই অন্যান্য দেশও আমাদের অনুকরণ করবে।’

৩১ নভেম্বর ১৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ভ্রমণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (ইউএনএফসিসিসি) কনফারেন্স অব পার্টিজের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন বক্তৃতা করবেন সরকারপ্রধান। এ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর সাথে।

তার এই সফরে বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীর ঘেঁষে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধিতা করে আসছেন পরিবেশবাদী ও অধিকারকর্মীরা, তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ক্ষতি রোধের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালে। ২০১৪ সালে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ।

এরপর প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার সময়সূচি কয়েক দফা পিছিয়ে স্থির করা হয়েছিল ২০২১ সালের জুন। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা আরেকবার পিছিয়ে করা হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর।

সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, আশা করা হয়েছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হবে, কিন্তু তা হচ্ছে না।

এ বিভাগের আরো খবর