ঝড়ে ভেঙে পড়ার প্রায় সাত মাস পর মেরামত করা হচ্ছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রাস্তার প্রজাপতি বাতি। আবারও জ্বলতে শুরু করেছে বাতিগুলো; ছড়াচ্ছে রোশনাই।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগ ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সড়কবাতি বসানোর কাজটি বাস্তবায়ন করেছিল। এতে ব্যয় হয় ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। প্রতিটি খুঁটির জন্য খরচ হয় ৩ লাখ টাকা করে।
গত জানুয়ারি মাসে রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটির ডিভাইডারের মধ্যে সড়কবাতিগুলো বসানো হয়। ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার পর মোট ১৭৪টি খুঁটি বসানো হয়।
এসব খুঁটি ও বাতি চীন থেকে আনা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সড়কবাতিগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এই বাতি আলোচিত হয় রাজশাহীজুড়ে। তবে বেশি দিন শোভা ছড়াতে পারেনি বাতিগুলো। উদ্বোধনের পর দুই মাস না যেতেই ঝড়ে লুটিয়ে পড়ে প্রজাপতি বাতির বেশির ভাগ খুঁটি।
খুঁটিগুলো ৪ এপ্রিল লুটিয়ে পড়ার পর ঠিকাদার বলেছিলেন, দুই রাতের মধ্যেই সব মেরামত করে দেয়া হবে, কিন্তু তা আর হয়নি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে সড়কবাতিগুলো লাগানো হচ্ছে। দুই রাতের জায়গায় লাগল সাত মাস!
রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটির ডিভাইডারে বসানো হয়েছিল দৃষ্টিনন্দন বাতিগুলো। খুঁটিগুলোর ওপরের অংশে প্রজাপতির মতো ডানা মেলে থাকা দুই পাশে দুটি করে এলইডি বাতি লাগানো। এ কারণে সড়কটি রাজশাহীর ‘প্রজাপতি সড়ক’ নামে পরিচিতি পায়।
তবে উদ্বোধনের দুই মাস না যেতেই গত ৪ এপ্রিলের বিকেলের ঝড়ে ৮৬টি সড়কবাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে উপড়ে যায় ৪০টি, আর হেলে যায় ৪৬টি। যদিও ওই ঝড়ে রাস্তার আশপাশের ঘরবাড়ির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
এসব বাতি ভেঙে পড়ার পর সেগুলো সংস্কার না করে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ফলে মাত্র দুই মাস ঝলমলে রাস্তা দেখার পর ফের অন্ধকার ভূতুড়ে রাস্তায় পরিণত হয় প্রজাপতি সড়ক।
নতুন করে বৃহস্পতিবার থেকে খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ‘ক্রেন না পাওয়ার কারণে পোল বসাতে সময় লাগল। সম্ভবত বাইরে থেকে ক্রেন এনে কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।’
এবার পোলে আগের চেয়ে বেশি করে ফাউন্ডেশন দেয়া হচ্ছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।