পটুয়াখালী শহরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জেরে সহিংসতায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই পৌর কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লাবুকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের অভিযোগ, স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
পটুয়াখালী শহরের কাছে লোহালিয়া খেয়াঘাটের পূর্ব পারে শুক্রবার রাতে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
লোহালিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট পুলিশিং কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বিপুল চন্দ্র জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খেয়াঘাট এলাকায় নৌকা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সে সময় আহত হয়েছেন সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুয়েল মৃধাসহ কয়েকজন।
আহতরা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জুয়েল মৃধার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর হয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টার পর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ সেড়ে সন্ধ্যায় কর্মীদের নিয়ে শহরে ফিরছিলেন তিনি। খেয়াঘাটে ট্রলার না থাকায় অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা।
জুয়েলের অভিযোগ, সে সময় লোহালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কুল্লে আলম ফকিরের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ পাঁচজন আহত হন। বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
সদর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান মিয়া জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নৌকার প্রার্থী কবির তালুকদারের ভাই পটুয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউলকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযোগ নাকচ করে নৌকার প্রার্থী কবির তালুকদার জানান, লোহালিয়া ঘাটসংলগ্ন এলাকায় তার নির্বাচনি ক্যাম্পে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েলসহ কয়েকজন কর্মী ভাঙচুর চালান। তখন স্থানীয়দের সঙ্গে জুয়েলের মারামারি হয়।
কবির বলেন, ‘এ খবর শুনে আমার ছোট ভাই কাউন্সিলর লাবু সেখানে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
হামলার বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কুল্লে আলম ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, জনগণের জানমাল রক্ষা ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। সহিংসতায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।