পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিনের গাড়ি বহরের মাইক্রোবাস থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সুজানগরের রানীনগর বাজারে চেয়ারম্যানের গাড়ি বহরে তল্লাশি চালানো হয়।
অস্ত্র ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে আমিনপুর থানায় নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, ‘সন্ধ্যায় রানীনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বর্ধিত সভায় সমর্থকদের গাড়ি বহর নিয়ে রানীনগর বাজারে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন।
‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বহরের একটি কালো মাইক্রোবাস তল্লাশি করে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যায়, একটি ওয়ান শ্যুটার গান লাইসেন্স করা আর শর্টগানটি অবৈধ। লাইসেন্স করা অস্ত্রটি সুজানগর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জনির বাবার নামে ইস্যু করা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
তিনি জানান, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত জানানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোট ১১ নভেম্বর।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে শাহিনুজ্জামানের নিজস্ব লোক মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন। নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এসব ইউনিয়নে নৌকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রানীনগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তৌফিকুল ইসলাম পীযুষের বিপরীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক টুটুল কাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সভায় বিশৃঙ্খলা করতেই তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় এসেছিলেন।’
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘আমার গাড়ি বহর থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। বিদ্রোহী প্রার্থীকে মদদ দেয়ার বিষয়টিও সত্য নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।