চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে র্যাগ, মারধর ও জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের একটি পক্ষের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার আরাফাত হোসেন ও রাউজান উপজেলার আকতার হোসেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তারা।
অভিযুক্তরা হলেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের জুয়েল, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রনি, ইবনুল ও জাবেদ। এরা সবাই ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী। এই গ্রুপটি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন লিখেছেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেলস্টেশনে আট-নয় জন আমাদের ডেকে র্যাগ দেয়। শরীর অসুস্থ থাকায় আমরা সেখান থেকে চলে আসতে চাইলে তারা আমাদের গালিগালাজ করে মারধর শুরু করে।
‘এসময় আমাদের একজনের মাথা ফেটে যায়। আরেকজনও আহত হয়। পরে আমাদের দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে নিয়ে যায় তারা।’
অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ম্যানিব্যাগ, মোবাইল ও একটি স্বর্ণের আংটি নিয়ে যায় তারা। মানিব্যাগে তিন হাজার ৯০০ টাকা ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত এক বড় ভাইকে ফোন করলে তিনি আমাদের উদ্ধার করে মেডিক্যালে নিয়ে আসেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের চিকিৎসক ডা. শুভাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আহত দুজনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। একজন কপালে আঘাত পাওয়ায় তাকে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে। আরেকজন ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন।’
অভিযুক্ত জুয়েল ও রনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দাবি করেন, ওই সময় তারা কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না। অন্য জায়গায় ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্টেশনে কোনো একটা বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়েছে শুনেছি। র্যাগের কথা শুনিনি। অভিযোগ দেয়ার সময় আমি অন্য মিটিংয়ে ছিলাম। লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকলে সহকারী প্রক্টররা সেটি খতিয়ে দেখবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।