বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাদ্যে ভেজাল সমন্বয়হীনতায়

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ২১:২৪

সম্মেলন শেষে গৃহীত প্রস্তাবনাসমূহে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য চক্র নিশ্চিত করতে সরকারকে সর্বক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নিরাপদ খাদ্য গবেষণায় জোর দিতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত জনশক্তি ও মন্ত্রণালয়সমুহের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় খাদ্যে ভেজাল থামানো সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ সোসসাইটি ফর সেইফ ফুড (বিএসএসএফ)।

শুক্রবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস (বিইউএইচএস) অডিটডরিয়ামে বিএসএসএফ-এর চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সদস্য ড. মনজুর মোরশেদ আহমেদ।

সোসাইটির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ড. মিথিলা ফারুকের উপস্থাপনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ফরিদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএসএফ-এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কেএইচএম নাজমুল হুসাইন নাজির।

ড. মনজুর মোরশেদ আহমেদ বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নিঃসন্দেহে নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে। পাশাপাশি নানা ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে আমাদের মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত হওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত জনশক্তি ও মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক বড় এক চ্যালেঞ্জ।’

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়নসহ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা, জনবল বৃদ্ধি এবং তাদের কাঙ্খিত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে জোর দেন এই গবেষক।

সম্মেলন শেষে গৃহীত প্রস্তাবনাসমূহে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য চক্র নিশ্চিত করতে সরকারকে সর্বক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নিরাপদ খাদ্য গবেষণায় জোর দিতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া ‘খাদ্যমান মনিটরিং’ ব্যবস্থাপনায় জোর দেয়ার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ গড়ে তুলতে হবে।

নিরাপদ খাদ্যে অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার জন্য সম্মেলনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশে খাদ্যকে এমন একটা মানে নিয়ে যেতে হবে যাতে করে উন্নত দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকে।

সম্মেলনে ৩৬টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সারা দেশের ৩২টি প্রতিষ্ঠান থেকে দেড় শতাধিক সদস্য এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর