গাজীপুর পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গিয়ে এক তরুণের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ওই তরুণের বন্ধুরা মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টকে সামনে আনলেও বিষয়টি নাকচ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
মৃত ২০ বছর বয়সী ফাহিম চৌধুরী গাজীপুর মহানগরীর উত্তর খাইলকুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, সকালে ফাহিম কনস্টেবল নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে জেলা পুলিশ লাইনসে যান। বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা চলাকালে তিনি একটি ট্রান্সমিশন টাওয়ারের সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়ান। একপর্যায়ে ফাহিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের পর ফাহিমের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় রাতে অপমৃত্যু মামলা করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ফাহিমের বন্ধু বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ লাইনসে পরীক্ষা দিতে আমিও গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড রোদের কারণে ফাহিমসহ আমরা কয়েকজন একটি টাওয়ারের নিচে ছায়ায় দাঁড়াই। একপর্যায়ে ফাহিম টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বাইরে লোহার খাঁচায় স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে উদ্ধারের পর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, টাওয়ার থেকে বিদ্যুতায়িত হওয়ার তথ্য পেয়ে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টাওয়ারে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগের প্রমাণ পায়নি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম এনায়েত হোসেন জানান, জেলা পুলিশ লাইনসে গিয়ে ট্রান্সমিশন টাওয়ারটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটি বিদ্যুতায়িত হয়নি। এটি স্পর্শ করলে মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক রোমান আল মামুন জানান, দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা নেয়া হয়েছে। ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।