বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঁচ টাকায় ৮০ পান

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৩৯

ঝিনাইদহের হলিধানী হাটে গিয়ে দেখা যায়, ভালোমানের প্রতি পণ (৮০টি) পান বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায়। পাঁচ টাকা পণেও বিক্রি হচ্ছে কিছু পান।

কম চাহিদা আর রপ্তানি প্রায় বন্ধ থাকায় ঝিনাইদহে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে পান। দাম এতটাই কম যে উৎপাদন খরচও উঠছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

জেলা শহরের নতুন হাটখোলা, হলিধানী, ডাকবাংলা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার আমতলা, জিন্দারের মোড়সহ বিভিন্ন হাটে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে পান।

শুক্রবার হলিধানী হাটে গিয়ে দেখা যায়, ভালোমানের প্রতি পণ (৮০টি) পান বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায়। পাঁচ টাকা পণেও বিক্রি হচ্ছে কিছু পান।

চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পানের দাম অর্ধেকে নেমেছে। দাম এত কম হওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচও উঠছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এই বছর জেলার ছয় উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে।

হরিণাকুন্ডু উপজেলার কিসমত ঘোড়াগাছা গ্রামের পানচাষি হাবিব চৌধুরী বলেন, ‘এবার পানের যে দাম যাচ্ছে তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম। পানের দাম কম হওয়ার কারণে এবার উৎপাদন খরচও উঠছে না।’

একই গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘এক বিঘা পান আবাদ করতে সার, খৈল, বিচুলি, পাটকাঠি, ওয়াসি, শ্রমিকসহ হিসাব করলে ৩ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে বর্তমানে পানের যে দাম যাচ্ছে তাতে ভালোমানের পান হলেও ১ লাখ টাকার বেশি পাওয়া যাবে না।’

সদর উপজেলার ডাকবাংলা গ্রামের পানচাষি নয়ন মণ্ডল বলেন, ‘করোনার কারণে গত দুই বছর পান বিক্রি কম হয়েছে। এখন বিক্রি হলেও দাম কম। এভাবে চলতে থাকলে পানের আবাদ বন্ধ করে অন্য আবাদ করা লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পানের ভালো দাম পেতে এখন সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। ভারত থেকে কিছু পান আসে, সেই পান আনা বন্ধ করতে হবে। আর বিদেশে পান রপ্তানি বাড়াতে হবে।’

শহরের নতুন হাটখোলা বাজারের পান ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের এই সময়ে যে পান ৭০ থেকে ৮০ টাকা পণ দরে বিক্রি হয়েছিল, সেই পান এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ১৫ থেকে ২০ টাকা পণের পান বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।

আরেক ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন জানান, ঝিনাইদহ থেকে পান ঢাকা, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। ওইসব এলাকায় এখন কিছু পানের আবাদ হচ্ছে। যে কারণে মোকামগুলোতে এখন পানের চাহিদা কম হচ্ছে। তাই দাম কমছে।

ঝিনাইদহ জেলা মার্কেটিং অফিসার বলেন, ‘কৃষক ভাইদের পানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। পানচাষিরা যেন সিন্ডিকেটের কবলে না পড়েন এ জন্য নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছি। আর কৃষি বিভাগের সাথে আলোচনা করে বিদেশে পান রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে কথা চলছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজগর আলী বলেন, ‘দেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পান রপ্তানি করা হয়। করোনা শুরুর পর থেকে লকডাউনের কারণে পান রপ্তানি বন্ধ ছিল। এখন কিছু পাঠানো হচ্ছে। তবে পরিমাণে কম। আমরা চেষ্টা করছি পানের রপ্তানি বাড়ানোর।’

এ বিভাগের আরো খবর