জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে পণ্যমূল্য আরও বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড ছোঁয়ার কারণে দেশেও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এই সরকার বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। এখন ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করতে চাইছে। এটা বাড়লে আমাদের সবকিছুতেই প্রভাব পড়বে। কারণ এর সঙ্গে আমাদের কৃষি জড়িত।’
রিজভী পরক্ষণেই বলেন, ‘দাম বাড়লেই তাদের কী? কারণ, তাদের তো কানাডা ও আমেরিকা ও মালয়েশিয়াতে বাড়ি আছে। সুতরাং গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ মরল নাকি বাঁচল, সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তার কাছে এসবের কোনো প্রতিকার নেই।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের কর্মীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন। আলোচনার বিষয় ছিল ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্রের কলঙ্ক’।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যেতে অভ্যস্ত। কারণ তারা লাশ দেখতে অভ্যস্ত। যেমন ২৮ অক্টোবর তারা লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য করেছিল, যা জঙ্গিবাদকেও হার মানায়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বিকারগ্রস্ত দল। ২৮ অক্টোবরের ওই নির্মম ও মর্মান্তিক ঘটনা দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সংঘটিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই ২৮ অক্টোবর ইতিহাসের নির্মম রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শুধু টুলস হিসেবে কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা ঘটেছে।’
ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, ইয়ূথ ফোরামের কমর উদ্দিন লিটন, আমীর হোসেন বাদশা।