বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাঠে নামলেই বিজয়, ধারণা কামাল-জাফরুল্লাহর

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩২

‘মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। কারণ, তারা দেশের বর্তমান অবস্থা সহ্য করতে পারছে না। আমরা এখন মাঠে নামলেই বিজয় আসবে। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখিয়েছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। এবারও ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা রাস্তায় নামলে বিজয় আসবেই।’

টানা ১২ বছর ধরে দেশ পরিচালনা করা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারকে জনগণ আর সহ্য করতে পারছে না বলে মনে করেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে রাজপথে নামার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেন, মাঠে নামলেই বিজয় আসবে।

শুক্রবার জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহিত আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন গণফোরাম নেতা।

এতে অংশ নেয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, সব দল মিলে এক হয়ে রাজপথ দখল করতে পারলে এক বছরের মধ্যেই সরকারের পতন হবে।

সম্মেলনে ৫০টি জেলার এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী অংশ নেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই আয়োজনে আলোচনা সভা হয় ‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন’ বিষয়ে।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগবিরোধী জোটের নেতৃত্বে ছিলেন ড. কামাল হোসেন। সে সময় বিএনপি জোটের সবচেয়ে বড় দল হয়েও ড. কামালকে সামনে নিয়ে আসে। তবে নির্বাচনের পর তিনি গুরুত্ব হারান বিএনপির কাছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও এখন নিষ্ক্রিয়।

ভোটের পর গণফোরাম নেতা আন্দোলনের ডাক দিয়েও তার জোটকে মাঠে নামাতে পারেননি। তবে সম্প্রতি তিনি আবার জাতীয় ঐক্যের কথা বলছেন, যদিও তার নিজের দলই এখন ভাঙনের মুখে।

ড. কামাল বলেন, ‘দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। কারণ, তারা দেশের বর্তমান অবস্থা সহ্য করতে পারছে না। আমরা এখন মাঠে নামলেই বিজয় আসবে।

‘আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখিয়েছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। এবারও ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা রাস্তায় নামলে বিজয় আসবেই।’

গণফোরাম নেতা বলেন, ‘সবাই দেশে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশে যেখানে জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকা দরকার, সেখানে জনগণ পুরোপুরিভাবে সেই ক্ষমতাবঞ্চিত।

‘বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় তারা কোনোভাবেই জনগণের আস্থাভাজন নয় এবং জনগণের কাছ থেকে দায়িত্ব পায়নি। কিন্তু তারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছে এবং দেশে ১৬ আনা স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে দেশে।‘

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘নৌকা ডুবে গেছে। আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। তাই বলতে চাই, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজপথ দখল করতে হবে।

‘আমরা সবাই যদি একত্রে রাস্তায় নামি, তাহলে বিজয় আসবেই। আমরা যদি রাজপথ দখল করি, আগামী এক বছরের মধ্যে সরকার ক্ষমতা থেকে যাবে।’

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, আমরা হয়তো সবাই একমঞ্চে উঠতে পারব না। কিন্তু যার যার অবস্থান থেকে ভোটাধিকার আদায়ে রাস্তায় সংগ্রাম-আন্দোলন করতে পারি। তাহলে আমাদের বিজয় আসবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিনিময়ে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেবেন, এমন কোনো কথা ছিল না। যে দেশে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়, তার চাইতে জবরদস্তি আর কিছুই হতে পারে না।’

‘প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- এই দেশের মানুষ আর বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেবে না। আপনারা যতই নীলনকশা করুন না কেন।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হকও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর