বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিতে পরবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
শুক্রবার ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি ও পণ্য বিপণন মনিটরিং কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় পণ্য মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চাল, গম, সয়াবিন তেল, মসুরের ডাল, পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি ও সবজিসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে।
পরে সচিব বলেন, ‘বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধি এবং কনটেইনার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এবার বাজারে তেল, চিনি ও চালসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। এ বছর সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম যতটা বৃদ্ধির কথা ছিল, ততটা বাড়েনি।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা নিত্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাস এবং কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।
সচিব বলেন, ‘সরকার চাইলেই আমদানি শুল্ক কমাতে পারে না। এতে বাজারে সরবরাহ কমে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সরকার চেষ্টা করছে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে সমন্বয় করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।
‘দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভোগের চাহিদাও বেড়েছে। তবে গরিব মানুষের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা সেটি চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।’
আলোচনায় উঠে আসে, ফরিদপুর জেলায় চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি। চরাঞ্চলে প্রচুর দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় এর সুফল মিলছে না।
এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন সচিব।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা সোহেল শেখ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল্লা মো. আহসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিচালক রকিবুল ইসলাম, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর মিয়া, চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বিপ্লব কুমার সাহা, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য রেজভী জামান, আসমা আক্তার মুক্তা, শিপ্রা গোস্বামী।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা শামীমা নাসরিন, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীও সভায় উপস্থিত ছিলেন।