ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি ভেঙে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন ও এসএমএস দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের গোয়ালদী এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারে অংশ নেন নৌকা প্রার্থী আজাহার আলী।
এতে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এনামুল হক আইয়ুব, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
ওই সভার ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায়, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজাহার আলীর পাশে বসে নির্বাচনি সভা করেন চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন।’
সোমভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজাহার আলী বলেন, ‘গোয়ালদীতে গতকাল সন্ধ্যার দিকে সভা হয়েছে। সেখানে ১০০-১৫০ লোক উপস্থিত ছিলেন। সভায় এমপি বেনজির আহমেদের ছোট ভাই এনামুল হক আইয়ুব, ছাত্রলীগের ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন উপস্থিত ছিলেন।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। আর উনি (উপজেলা চেয়ারম্যান) কথাও বলেননি। পরবর্তী সময়ে সচেতন থাকব।’
সোমভাগ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আওলাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রচারে সরাসরি অংশ নিয়েছে। আচরণবিধি ভেঙে এভাবে চলতে থাকলে আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকছে না। এ ক্ষেত্রে আমি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের দৃষ্টি কমানা করছি।’
ধামরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার আয়শা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীর পক্ষে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি প্রচার চালাতে পারেন না। এ নিয়ম অনুসারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে অংশ নিতে পারেন না। আমরা তাকে নোটিশ করব।’