মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ফেরি দুর্ঘটনার পর দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
দুর্ঘটনার তৃতীয় দিন শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটার জুড়ে ছিল পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। দূরপাল্লার বাসের সারি ছিল দুই কিলোমিটার অংশ জুড়ে।
মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমাতে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রাখা হয়েছে একটু দূরে। দৌলতদিয়া থেকে ১৪ কিলোমিটার আগে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় এসব যানের সারিও রয়েছে প্রায় চার কিলোমিটার।
তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় ফেরির অপেক্ষায় থাকা এসব যানের চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। সব এলাকায় শৌচাগার ও রেস্তোরাঁ না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।
রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আটকে থাকা ট্রাকচালক জয়নাল হায়দার বলেন, ‘গতকাল রাতে এসে আটকে আছি এখানে। এখানে ফাঁকা রাস্তায় নিরাপত্তা নেই। খাবার হোটেল নেই। গাড়ি রেখে কোথাও যেতেও পারছি না। আমাদের ভোগান্তি দেখার কেউ নাই।’
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে এখন চলছে ১৮টি ফেরি। বুধবার পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে আমানত শাহ ফেরিটি ডুবে যাওয়ায় ঘাটটি বন্ধ রয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যস্ততম এ নৌপথে একটি ঘাট বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
এ বিষয়ে জানতে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো কর্মকর্তা ফোন ধরেননি।