বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোলাগুলি, ভাঙচুরে উত্তপ্ত সুজানগর

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৩২

সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।’

পাবনার সুজানগরের হাটখালী ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় এবং বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইউনিয়নের বারভাগিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটার দিকে গোলাগুলি এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, আহত চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুজানগর উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাটখালী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ খান বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন থেকেই এখানে দলীয় প্রার্থীর লোকজন মারমুখী আচরণ শুরু করে।

‘তারই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে বারভাগিয়া গ্রামে নৌকার প্রার্থীর পাঠানো সন্ত্রাসীরা এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। রাতে অতর্কিত ভাবে সাধারণ লোকজনের ওপর গুলি করলে আমাদের ছয়-সাতজন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হন। পরে আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে ভারাটে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা একই ইউনিয়নের নুরুউদ্দিনপুর বাজারে আমার একটি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে চলে যায়।’

তবে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রউফ বিষয়টি অস্বীকার করেন

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা হাটখালী ইউনিয়নে ঘটেনি। আমার জনপ্রিয়তা ও নিশ্চিত বিজয় দেখে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি মূলত বারভাগিয়া গ্রামের বিশ্বাস ও মোল্লা গোষ্ঠি কেন্দ্রিক একটি ঝামেলা। এই ঝামেলাকে নির্বাচনি সহিংসতা দেখানোর অপচেষ্টা করে নির্বচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আনারস প্রতীক ও বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ খান।’

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পরপরই পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম স্যারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’

দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর সুজানগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে।

উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুর রউফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ খান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনছার আলী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর