বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতীয় ঋণে ১৪৩ প্রকল্প নিয়ে ঢাকায় পর্যালোচনা

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০২:০০

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছরের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ঋণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ৮৬৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের প্রথম ঋণচুক্তির অধীনে ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।

ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়নাধীন ৪৩ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে ঢাকা ও নয়াদিল্লি। এটি ছিল এসংক্রান্ত ১৯তম বাংলাদেশ-ভারত ঋণচুক্তি পর্যালোচনা সভা।

বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকায় এই ঋণ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রীধরন মধুসূদন।

বাংলাদেশে ঋণচুক্তির অধীনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ভারতীয় কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ-ভারত উন্নয়ন অংশীদারত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী এবং বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের জন্য ভারতের ঋণচুক্তি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে ৭ দশমিক ৮৬২ বিলিয়ন ডলারের চারটি ঋণ দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ৮৬৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ৮৬২ মিলিয়ন ডলারের প্রথম ঋণচুক্তির অধীনে ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।

এতে বলা হয়েছে, দুই বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় ঋণচুক্তির অধীনে দুটি প্রকল্প ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় ঋণচুক্তির অধীনে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অন্য প্রকল্পগুলো ডিপিপি চূড়ান্তকরণ এবং টেন্ডারিংয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, যা উভয় পক্ষের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার সক্রিয় সহযোগিতা এবং ইআরডি ও হাইকমিশনের মধ্যকার ব্যাপক সমন্বয় প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। গত তিন বছরে ভারতের ঋণচুক্তি প্রকল্পের অধীনে ৯৯০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের চুক্তি প্রদানের পাশাপাশি পরের কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৩২৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এতে ঋণচুক্তির ব্যবহারের হার অদূর ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

এতে বলা হয়েছে, ঋণচুক্তি পর্যালোচনা বৈঠকের সময় উভয় পক্ষই ঋণচুক্তি প্রকল্পগুলোতে সক্রিয় সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। দুই প্রতিনিধিদলের প্রধান ঋণপ্রকল্পগুলোর সব অংশীদারের যোগাযোগ, নিয়মিত ও বিশদ পর্যালোচনা বৈঠক এবং প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একটি বিশদ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান প্রক্রিয়া চিহ্নিত করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সব পদক্ষেপের জন্য বিস্তারিত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই ঋণচুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়াটিকে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিরীক্ষণ, প্রক্রিয়াগত বাধা চিহ্নিত ও দূর করতে এবং সময় মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম বলে মত প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়েছে, ভারত সরকারের ঋণচুক্তির অধীনে প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন এবং চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোতে দুই দেশের ক্রমাগত সম্পৃক্ততা এই অঞ্চলের অভিন্ন উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য নতুন সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন করে।

উভয় প্রতিনিধিদলের প্রধান স্মরণ করেন, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সামিটের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঋণচুক্তি ব্যবহার করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন।

ঋণচুক্তি পর্যালোচনা সভার আগে ২৫-২৬ অক্টোবর দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশন এবং এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতীয় প্রতিনিধিদল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সঞ্চালনকেন্দ্র, আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর প্রকল্পের পাশাপাশি আশুগঞ্জ-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া সড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করে।

প্রতিনিধিদলটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব অংশীদারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। একই সঙ্গে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও প্রতিবন্ধকতা সমাধানের জন্য বিশদ আলোচনা করে।

সভায় ২০তম দ্বিপক্ষীয় ঋণচুক্তি পর্যালোচনা সভা ২০২২ সালের এপ্রিলে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর