ইঞ্জিন বিকল হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বৃহস্পতিবার রাতে চার ঘণ্টা আটকে ছিল মালবাহী একটি ট্রেন। যার ফলে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের ট্রেন চলাচল।
বিকল্প ইঞ্জিনে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে মালবাহী ট্রেনটি কসবা ছেড়ে গেলে সে পথে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
ট্রেন চলাচলের এ বিপত্তিতে ভাবনায় পড়েছেন শুক্রবার সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। ট্রেনের সূচিতে বড় ধরনের রদবদল হলে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলে মনে করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও শুক্রবার সকালে রয়েছে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
বিসিএস পরীক্ষার্থী আশুগঞ্জের ইউসুফ আবদুল্লাহ রোহান বলেন, ‘ঢাকা মেইল ট্রেনে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকায় রওনা দেব। ৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যদি ট্রেনের সময়সূচি বদল হয়, তাহলে বিপদে পড়ে যাব।’
চট্টগ্রামগামী ট্রেনের যাত্রী সাবিয়া জাহান রুমা একই ঘটনায় চিন্তিত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন। সকালে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কসবাতে মালবাহী ট্রেন বিকল হলে আশপাশের স্টেশনগুলোতেও বেশ কয়েকটি ট্রেনকে অপেক্ষা করতে হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল করিম জানান, সন্ধ্যায় ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনটি কসবা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে আসার পর বিকল হয়ে যায়। এরপর ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে, চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে দীর্ঘ সময় আটকে ছিল।
বিকল ট্রেনটিকে সরাতে প্রথমে একটি ইঞ্জিন পাঠালে সেটি ব্যর্থ হয়। পরে আরেকটি ইঞ্জিন গিয়ে ট্রেনটিকে আখাউড়ায় সরিয়ে আনে বলে জানান তিনি।