বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদুন্নবী হত্যা: ১ বছরেও অভিযোগপত্র নেই, জামিনে শতাধিক

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০১:২৩

লালমনিরহাটে শহীদুন্নবী হত্যায় তিন মামলায় এজাহারনামীয় ১১৪ আসামি ও তদন্তে পাওয়া ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও পাটগ্রাম থানার পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার সেই ১৩৪ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন ১২১ আসামি। মামলা তদন্তে দীর্ঘসূত্রতায় হতাশা জানিয়েছে শহীদুন্নবীর পরিবার।

লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার নৃশংস ঘটনার এক বছরেও অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর খুন হন শহীদুন্নবী। দেশজুড়ে আলোচিত সেই ঘটনার বিচার কবে শুরু হবে, জানেন শহীদুন্নবীর স্ত্রী ও দুই সন্তান।

শহীদুন্নবী হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তবে একটির অভিযোগপত্র দিতে পারেনি সংস্থাটি।

এসব মামলায় এজাহারনামীয় ১১৪ আসামি ও তদন্তে পাওয়া ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার সেই ১৩৪ জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ১২১ আসামি।

লালমনিরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকমল হোসেনের দাবি, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত করতে সময় বেশি লাগছে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দেয়া হবে।

ঘটনার শুরু যেভাবে

শহীদুন্নবী জুয়েল ও তার বন্ধু সুমন রুবাইয়্যেত গত বছরের ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কাজে। ওই দিন বুড়িমারী জামে মসজিদে আসরের নামাজ পড়তে যান দুই বন্ধু। শহীদুন্নবী নামাজ শেষে তিলাওয়াতের জন্য মসজিদের তাক থেকে কোরআন নিতে গেলে সেটি তার পায়ের ওপর পড়ে।

এতে মসজিদের মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করেন শহীদুন্নবীকে। মসজিদের বাইরে এনে বেদম মারধর করার সময় প্রচার করা হয়, তিনি কোরআন অবমাননা করেছেন।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাফিজ উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে শহীদুন্নবীকে উদ্ধার করে পরিষদ ভবনে নিয়ে যান। তবে উত্তেজিত জনতা কোরআন অবমাননার স্লোগান দিতে দিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ঘিরে ফেলে।

বুড়িমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ, পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

এরই মধ্যে শহীদুন্নবী ও তার বন্ধু সুমনকে পরিষদের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে তালা মেরে রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তবে উত্তেজিত জনতা পরিষদের গ্রিল ও ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে শহীদুন্নবী ও সুমনের কক্ষের তালা ভেঙে তাদের পেটানো শুরু হয়।

এর মধ্যে পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় সুমনকে সরিয়ে নিতে পারলেও শহীদুন্নবীকে সেখানেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ টেনেহিঁচড়ে শহরের বাঁশকল মোড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

এ ঘটনায় পরে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান মামলা করেন।

বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙচুর করে শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ।

পুড়িয়ে দেয়া মরদেহটি এতটাই বিকৃত হয়েছিল যে ময়নাতদন্ত করাও সম্ভব হয়নি

আর কোরআন অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে শহীদুন্নবীকে পিটিয়ে ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় তার চাচাতো ভাই হত্যা মামলা করেন।

তিন মামলায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ মানুষকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় পরে এজাহারনামীয় ১১৪ আসামি ও তদন্তে পাওয়া ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও পাটগ্রাম থানার পুলিশ।

তবে বিভিন্ন সময় হাইকোর্টের আদেশে ৩ মামলায় ১২১ আসামি জামিনে ছাড়া পান বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আবু মুসা।

মেলেনি কোরআন অবমাননার প্রমাণ

ওই ঘটনার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টি এম মুমিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করে জেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

দুই কমিটির সরেজমিনে তদন্তে বলা হয়, বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। শহীদুন্নবী জুয়েলকে কোরআন অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে হত্যা ও মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

পরিবার জানে না মামলার অগ্রগতি

শহীদুন্নবী হত্যার পরদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। পরে ওই ঘটনায় হওয়া তিনটি মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় ডিবি পুলিশকে।

এক বছর পরও মামলা তিনটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা।

তবে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানে না শহীদুন্নবীর পরিবার। কবে বিচার শুরু হতে পারে তাও জানেন না স্বজনরা।

শহীদুন্নবীর মেয়ে জেবা তাসনিয়া অনন্যা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছর বুড়িমারীতে নির্মমভাবে আমার বাবাকে মেরে পুড়িয়ে ফেলা হলো। এখনও আমরা তার বিচার পাইনি। আমরা বাবার হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার চাই। সরকারের কাছে আমার এটাই চাওয়া যেন আমার বাবা হত্যার সুষ্ঠু বিচার হয়।’

নিহত শহীদুন্নবী। ছবি: নিউজবাংলা

শহীদুন্নবীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক বছরে আমি তো কোনো বিচার পাইলাম না। আমার স্বামীর তো কোনো অপরাধ ছিল না। সে তো নিরপরাধ ছিল। সে তো কাজে গিয়েছিল সেখানে।

‘সে একখানে যেতেই পারে। মিথ্যা অপপ্রচার করে তাকে মেরে ফেলা হলো, আবার পুড়িয়ে ফেলা হলো। আমার স্বামী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

আসামিদের জামিনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুনলাম যে আসামিরা জামিন পাচ্ছে। আবার ধরতেছেও। তাতে তো কোনো সুষ্ঠু বিচার হলো না।

‘এখনও তো চার্জশিট দেয়নি। আমি শুনতেছি এখনও ওই অবস্থায় আছে। তদন্তে কোনো অগ্রগতি নাই। আসামিরা ছাড়া পাচ্ছে। সরকার তো কিছুই করল না।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ঘেরাও করে রাখা জায়গাটিতে হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হয় শহীদুন্নবীকে। ছবি: শাহজাহান সাজু

শহীদুন্নবীর বড় বোন হাসনা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাই হত্যার বিচার এখনও আমরা পাইনি। দুই-একজনকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন, হবে, হচ্ছে। ওর হয়ে পাটগ্রাম থানায় যিনি মামলা করেছেন তিনিও বলেন, হবে, হচ্ছে; তদন্ত চলছে।

‘আসামিরা ধরা পড়লেও আবার বিভিন্ন জায়গা থেকে খোঁজ নিয়ে দেখি জামিনে মুক্ত হচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক ও মর্মান্তিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সমবেদনা জানায়, দুঃখ প্রকাশ করে; আসলে দুঃখ প্রকাশ শুধু মুখের ভাষায়। এর সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না। আমার জোর দাবি সুষ্ঠু বিচার, সুষ্ঠু তদন্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

ভালো নেই শহীদুন্নবীর স্ত্রী-সন্তান

শহীদুন্নবীর রংপুরের শালবনের বাড়িতে বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা। দুই সন্তানের চিন্তায় ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত জেসমিন আরা মুক্তা।

তিনি জানান, তাদের মেয়ে অনন্যা এ বছর রংপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। তবে টাকার অভাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

ছেলে আবু তাহের মো. আশিকুন নবী অরণ্য একই বিদ্যালয়ে পড়ছে সপ্তম শ্রেণিতে। তবে বেতন এবং টিউশনফি দিতে পারছেন না তিনি।

মুক্তা বলেন, ‘জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছি। আমরা বড় অসহায়। না পারছি খেতে, না পারছি ছেলে-মেয়েদের পড়াতে। কখনও কখনও ছেলে-মেয়ের মুখের দিকে তাকাতে পারি না।

‘শহীদুন্নবীকে হত্যা করার পর রংপুর ডিসি অফিস থেকে ২০ হাজার আর লালমনিরহাট ডিসি অফিস থেকে ২০ হাজার-এই ৪০ হাজার টাকা আমি সহযোগিতা পেয়েছি। গচ্ছিত কোনো অর্থ নেই যে চলব। শুধু আল্লাহ ধৈর্য দিয়েছেন বলেই আজও বেঁচে আছি।’

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চাকরির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ডিগ্রি পাশ করেছি। আমার অসহায় ছেলে-মেয়েদের দিকে তাকিয়ে আমার জন্য একটা চাকরির খুব প্রয়োজন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এতটুকুই চাই। জীবন বাঁচাতে এতটুকু না হলে আর বাঁচতে পারি না।’

সুষ্ঠু তদন্ত দাবি

মূল আসামিদের পরিবর্তে অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শহীদুন্নবী হত্যা মামলার আসামি হাফিজ উদ্দিনের দাবি, মসজিদে কোরআন অবমাননার জন্য একজনকে পেটানোর তথ্য পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে শহীদুন্নবীকে উদ্ধার করে পরিষদ ভবনে আনেন। ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনও ও পুলিশের সামনেই শহীদুন্নবীকে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলাম, পরে দেখি আমি আসামি। আমি দুবার জেলে যাই। দুবারেই জামিনে মুক্তি লাভ করি। অথচ আসল আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার চাই।’

বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাদ বলেন, ‘মামলার একদিকে যেমন তদন্ত চলছে, অন্যদিকে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনেও মুক্তি পাচ্ছে। আবার নতুন করে গ্রেপ্তারও হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ চাঞ্চল্যকর মামলাটির চার্জশিট দেয়নি পুলিশ। এখনও প্রকাশ্যে মূল আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

‘কিন্তু পুলিশ কী করছে? মিথ্যা ও নিরপরাধ মানুষদের ধরছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদুন্নবীকে বাঁচানোর জন্য আমার ইউপি সদস্য হাফিজ মেম্বার মসজিদ থেকে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এলো, অথচ তাকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করল। এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

কী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

বুড়িমারী নিশৃংসতার ঘটনায় তিন মামলা শুরুতে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও এখন তার দায়িত্বে রয়েছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এ বিষয়ে জানতে হত্যা মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে দুই দিন ধরে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে মামলার বাদী সাইফুর রহমানকে বিপ্লবকে তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে।

লালমনিরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা জেলা পুলিশের সদস্যরা প্রথম থেকেই তদন্ত কাজে সহায়তা করছি। একটি গোয়েদা সংস্থা এ তদন্ত কাজ করছে এবং জেলা পুলিশ সুপার সেটিকে তদারক করছে।

‘তদন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দেব, যাতে কোনো নিরপরাধ লোক এ মামলায় হয়রানির শিকার না হয়।’

শহীদুন্নবী হত্যা মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আকমল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ জন্য মামলাটি একটু দীর্ঘায়িত হচ্ছে। খুব দ্রুত এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।’

মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বক্তব্য সঠিক নয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর বলে সঠিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করায় এটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যারা প্রকৃত আসামি তাদের সঠিক বিচারের আওতায় আনা হবে।

‘চার্জশিট এলেই আমরা মামলাটির বিচারকাজ তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারব। সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আসামিদের সাজাও নিশ্চিত করা যাবে। প্রকৃত আসামিরা শাস্তি পাবেই।’

এ বিভাগের আরো খবর