বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি অধ্যাপকের শাস্তি নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল গঠন

  •    
  • ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:১৮

গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকলের বিষয়টি নজরে আসার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে পিএইচডি গবেষণায় নকলের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই এই অধ্যাপকের শাস্তি নির্ধারণে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভার সভাপতিত্ব করেন।

সভায় আইন বিভাগের অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।’

বাকি দুই সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে সিনেট প্যানেল থেকে উপাচার্য মনোনীত একজন সদস্য হিসেবে থাকবেন। অভিযুক্তের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন আরেকজন।’

এর আগে লুৎফুল কবীরের ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক গবেষণার সঙ্গে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর ৯৮ শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিক্যাল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে; যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় ৯৮ শতাংশ হুবহু নকলের বিষয়টি নজরে আসার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ছাড়া লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভে নিজের একটি গবেষণা থেকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে একটি চিঠি দেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোনাস নিলসন।

এরপর এ অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর