জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে থাকলেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই জবির মেডিক্যাল সেন্টারে। তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে নেই কোনো প্রস্তুতিও। অব্যবস্থাপনার কারণে শর্টসার্কিটসহ যেকোনো সময় হতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
এর মধ্যেই মেডিক্যাল সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মেডিক্যাল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। এটি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো কথা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘প্রথমে তো ওখানে কিছুই ছিল না। এখন তো কয়েকটা রুমও হয়েছে। আবার শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমও সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে। আস্তে আস্তে সবই হবে। সমস্যা পয়েন্ট আউট করে দেখান আমাদের, সবই করা হবে।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলা পুরোটা সংস্কার করা হলেও এক পাশে মেডিক্যাল সেন্টার ও অন্য পাশে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিস করা হয়েছে। তবে সেখানেও নেই কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র।
সাবেক উপাচার্য বিভিন্ন বিভাগে ও দপ্তরে দপ্তরে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগের এক কোনায় ও বিবিএ ভবনের প্রতি তলায় দুই পাশে দুটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে।
তবে সেগুলোর ও মেয়াদ রয়েছে মাত্র এক মাস। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মধ্যে এসব যন্ত্র কেনার জন্য কোনো বাজেট না হওয়ায় আর যন্ত্র বসেনি।
এর আগে ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচতলা থেকে স্থানান্তর করে রফিক ভবনের নিচতলায় কেন্দ্রীয় আধুনিক মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।