সিলেট নগরের কুমারপাড়া এলাকা থেকে ১৬টি বালিহাঁসসহ জিতু মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট শাখার কর্মীদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।
বাপা কর্মীরা জানান, জিতু ওই এলাকায় পাখি বিক্রি করতে গেছেন-এমন তথ্য পেয়ে তারা যান। সেখানে একটি খাঁচায় ১৬টি বালিহাঁসসহ জিতুকে পান তারা।
ক্রেতা সেজে কথা বললে, হাঁসগুলোর জন্য ১০ হাজার টাকা দাম চান জিতু।
আলাপচারিতায় জিতু তাদের জানান, তিনি সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় নিয়মিত পাখি সরবরাহ করেন। গত শীতেও অনেকগুলো পাখি বিক্রি করেছেন মেয়রের বাসায়।জিতুর সঙ্গে কথা শুরুর আগেই র্যাবকে তাদের যাওয়ার তথ্য জানিয়ে রেখেছিলেন পরিবেশকর্মীরা। আলাপচারিতা চলার সময়ই র্যাবের একটি দল সেখানে গিয়ে পাখিসহ জিতুকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যেই স্থান থেকে জিতুকে আটক করা হয় নগরের কুমারপাড়ার ওই এলাকাতেই বাসা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর।
জিতু মিয়ার কাছ থেকে পাখি কেনার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বছর দশেক আগে একবার পাখির মাংস খেয়েছিলাম। এরপর আর কোনো দিন খাইনি। চিকিৎসকের নির্দেশে আমার মাংস খাওয়াই নিষেধ। আমার বাসার কেউও পাখির মাংস খান না।’
পাখি বিক্রেতা তার বাসার সামনে ধরা পড়েছেন বলে বাঁচার জন্য তার নাম বলে থাকতে পারেন বলে জানান তিনি।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘আমরা যখন জিতু মিয়ার সাথে পাখি বিক্রির বিষয়ে কথা বলছিলাম তখন তিনি মেয়রের বাসায় নিয়মিত পাখি বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন।’
র্যাব-৯-এর এএসপি তুইন রেজা বলেন, ‘কুমারপাড়া থেকে বালিহাঁস বিক্রির সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’