ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সই জাল করে প্রতারণার অভিযোগে স্বপন সিংহ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে বরিশাল শহর থেকে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
বেলা ৩টার দিকে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক এসব তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
৪৫ বছর বয়সী স্বপন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার বলেন, ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী এলাকার প্রান্ত শীল বাপ্পিকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন স্বপনসহ চারজন। প্রতারক চক্রটি নিজেদের আইজিপির ঘনিষ্ঠ লোক বলে পরিচয় দেয়। বাপ্পির পরিবারের কাছ থেকে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও একটি ফাঁকা চেক নেন তারা ৷
পুলিশ সুপার বরাবর কনস্টেবল পদে আবেদনের পর একটি কপির পাশে আইজিপির নকল সিল-সই দিয়ে ২৫ অক্টোবর কপিটি বাপ্পির পরিবারের কাছে দেন তারা। আবেদনটি গোপনে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবর দেয়ার জন্য বলা হয়। প্রতারকদের পরামর্শ অনুযায়ী বাপ্পির পক্ষ থেকে আবেদনটি এসপির দপ্তরে জমা দেয়া হয়।
এসপি বলেন, ‘তিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেন। তার সঙ্গী ইকবাল হোসেনকে আইজিপির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দেন বাপ্পি ও যুথিকাকে।
‘আমরা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে জানতে পারি, পুলিশের মহাপরিদর্শকের সিল ও সই জাল।’
২৭ অক্টোবর ফকিরহাট থানায় চারজনের নামে মামলা করেন বাপ্পির মা যুথিকা শীল। ওই মামলায় স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই চক্রের সঙ্গে আরও তিনজন রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসপি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আইজিপি কখনও কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন না। কনস্টেবল নিয়োগ হবে যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী। কোনো সুপারিশে চাকরির সুযোগ নেই।’