নিম্নমানের ভুট্টার বীজ নিয়ে অন্তত পাঁচ জেলার কৃষক বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ, মেহেরপুর, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর জেলায় রাফিদ সীডস কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে ‘বিজয় ৭১’ নামে এই বীজ বাজারজাত করে আসছে। বিগত বছরগুলোতে এই ব্রান্ডের বীজ দিয়ে চাষীরা ভালো ফলন পেয়ে আসছিলেন।
বীজের প্যাকেট থেকে জানা যায়, ভারতের জয় কিষান সীডসের কাছ থেকে ‘বিজয় ৭১’ ব্রান্ডের বীজ নিয়ে বাজারজাত করে দেশীয় রাফিদ সীডস কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড।
অভিযোগ উঠেছে, এ বছর আমদানি অনুমোদনপত্রে জয় কিষান সীডসের নাম থাকলেও রাফিদ সীডস কোম্পানি তা পাশ কাটিয়ে গেছে এবং দেশীয় কম দামি বীজ মিশ্রণ করে বাজারজাত করছে।
জয় কিশান সীডের স্বত্বাধিকারী আবদুল গফুর বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের বীজ নিয়েই বাংলাদেশে বিজয়-৭১ নাম দিয়ে বাজারজাত করে আসছে রাফিদ সীডস কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড। কিন্তু এ বছর তারা আমার কাছ থেকে কোন বীজ সংগ্রহ করেনি। তবে আমি জানতে পেরেছি, বিজয়-৭১ নামে তারা বীজ বাজারজাত করে আসছে। তবে এই বীজ আমার প্রতিষ্ঠানের না।’
‘বিজয় ৭১’-এর বীজ আসল না নকল তা নিয়ে এখন সংশয়ে আছেন উল্লেখিত পাঁচ জেলার কৃষকেরাও। যদিও বিগত বছরগুলোতে তারা এই বীজ থেকে ভালো ফল পেয়েছেন।
রাফিদ সীডসের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো- তারা জয়েন্ট স্টক থেকে নিবন্ধন না করেই প্রাইভেট লিমিটেড হিসেবে নিজেদেরকে চালিয়ে দিচ্ছে।
এসব বিষয়ে রাফিদ সীডসের স্বত্বাধিকারী মোস্তাক আহমেদ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে প্রাইভেট লিমিটেড লিখে দিয়েছে। তাই আমরা লিখছি।’
তবে ওই কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। জয় কিশান সীড থেকে কেন ভুট্টা আনেননি এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বীজ চেয়েছি। আমাকে দেয়নি। তাই বিকল্প উপায়ে বীজ এনেছি।’
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আছে।
তবে তিনি তাও দেখাতে পারেননি।