বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আয়েশি ভাব বাদ দিয়ে, করোনা ঠেকাতে সতর্ক হোন’

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৩৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, যখনই একটু শীতকাল আসছে, পৃথিবীর সব দেশে আবার কিন্তু করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। এমনকি ইউএসএ, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা দেখা যাচ্ছে বা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’

শীত এলে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে আবারও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে জানিয়ে, এ সময়টাতে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নীতিমালা অনুযায়ী দেশের যোগ্য সব মানুষকে করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস-এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারের জন্য কম্বল গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সরকারপ্রধানের পক্ষে দুঃস্থ মানুষের জন্য দেয়া কম্বল গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, যখনই একটু শীতকাল আসছে, পৃথিবীর সব দেশে আবার কিন্তু করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। এমনকি ইউএসএ, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা দেখা যাচ্ছে বা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। শীতকাল আসলে একটু ঠাণ্ডা লাগে, সর্দি কাশি হয়, আর সর্দি কাশিটা হলেই কিন্তু এই করোনাভাইরাসটা… এটা তো সাধারণত বলে যে আমাদের সাইনাসে বাসা গাড়ে। সেই দিকে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে।’

করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর সবার মধ্যে ‘আয়েশি ভাব’ চলে এসেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এ সময় বাড়তি সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন আমরা দেখছি, করোনা নাই, তাই এখন একটু সবার মধ্যে আয়েশি ভাব এসে গেছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে আবার সতর্কতা অবলম্বন করার। সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে, ইনশাল্লাহ আমাদের এই প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে পারবে না। এর মধ্যে আমরা টিকাদান কর্মসূচি যেটা চলমান রয়েছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা সকল মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হব।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সব স্তরের মানুষকে আমি আহ্বান করব, মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন-সি যেন বেশি থাকে, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

‘কোনোভাবেই যেন ঠাণ্ডা না লাগে। এখন এক সময় একটু গরম লাগে, আবার ঠাণ্ডা লাগে। ঠাণ্ডা যে পড়বে পড়বে ভাব, এই সময়টা সবচেয়ে খারাপ। আমাদের অক্টোবর-নভেম্বর মাসটা সবসময় দেখা যায় যে, এই সিজনটা চেঞ্জ হয়, সিজন চেঞ্জের সময় সর্দি-কাশির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই সময়টায় যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, কোনো মতেই যেন ঠাণ্ডা না লাগে। তাহলে কিন্তু করোনা আমাদেরকে আর ধরতে পারবে না।’

করোনা প্রতিরোধে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে অন্তত এ ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যেন আবার এই করোনার প্রাদুর্ভাব না দেখা দেয়। সে জন্য সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। মাস্কটা অবশ্যই পরে থাকতে হবে। কারণ এই মাস্কটা পরে থাকলে পরে অন্তত কেউ যদি সংক্রমিত হয়ে কথা বলতে আসে, তাহলে নিজে সংক্রমিত হবেন না।

‘আর টিকা দেয়ার পর যেটা হচ্ছে, সংক্রমিত হলেও তেমন কোনো সিম্পটম দেখা দেয় না। বেশি একটা অনুভূত হয় না। অনুভূত না হলেও এটা কিন্তু ছড়ায়। কাজেই এ ব্যাপারেও একটু সতর্ক থাকতে হবে। মাস্কটা পরে থাকতে হবে।’

বর্তমান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা টিকা সংগ্রহ করে টিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছি। টিকাদান কর্মসূচি চলছে সারা বাংলাদেশব্যাপী। পাশাপাশি আমাদের ছাত্র সমাজকে আমরা টিকা দিচ্ছি এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও আমরা টিকা দেব। সে প্রস্তুতিও আমরা এর মধ্যে নিয়েছি। দু-একদিনের মধ্যে আমরা এ কাজ শুরু করব।’

টিকা সেবা থেকে দেশের একটি মানুষও বাদ পড়বে না বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষ যেন বাদ না যায়। সকল মানুষ যারা টিকা গ্রহণ করার মতো, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য প্রত্যেকটা মানুষ টিকা পাবে সেই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি।’

শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকসকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মানুষের যেকোনো দুঃসময়ে আমি দেখেছি আমাদের ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন সব সময় এগিয়ে আসে এবং প্রত্যেক ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব সময় সহযোগিতা করে থাকেন। আমাদের বলারও প্রয়োজন হয় না, আপনারা নিজ থেকে এগিয়ে আসেন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। সে জন্য আপনাদের সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর