কুমিল্লার ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম বেরিয়ে আসছে ফলে মির্জা ফখরুল এবং তার দলের নেতারা এখন ভীত হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হানিফ। বিজয়’৭১ নামে একটি সংগঠন ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে বিএনপি ধর্মকে বার বার ব্যবহার করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কুমিল্লার মন্দিরে কোরআন রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ইকবাল স্বীকার করছেন কার নির্দেশে তিনি এই কাজ করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা, তাদের স্থানীয় কাউন্সিলর ছাড়াও অনেকের নাম উঠে এসেছে। নোয়াখালীর চৌমুহনীর ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এক নেতার জড়িত থাকার কথাও গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করছেন।’
সাম্প্রতিক বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে নিজ দলের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘শুধু ছাত্রলীগ থেকেই ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে আরও বহিষ্কার করার প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় যারাই জড়িত থাকবে, তাকেই প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
হানিফ মনে করেন, সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার নিশ্চিত করতে পারলে দেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরে আসবে।
রাজনীতিতে বাংলাদেশে আবার বিদেশি শক্তির প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজনীতিতে বর্তমানে একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে, বৈশ্বিক শত্রুর প্রভাব। আমরা অনেক রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি।’
গৌরব’৭১-এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদসহ আরও অনেকে।