বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেপিসিএল শেয়ারে দেবে ১ টাকা ২৫ পয়সা

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৫২

চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাস আগেই কোম্পানিটির দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ প্রান্তিকের আয় কত হয়, এ নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার বা কেপিসিএল এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লভ্যাংশ হিসেবে পাওয়া যাবে ১ টাকা ২৫ পয়সা। তবে এই লভ্যাংশ কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাবেন, উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ পাবেন না।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত ৩০ জুন পর্যন্ত আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৮৭ টাকা ৩ টাকা ৪০ পয়সা।

চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাস আগেই কোম্পানিটির দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শেষ প্রান্তিকের আয় কত হয়, এ নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন।

তবে এই সময়ে আবার কোম্পানিটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রায় বিনিয়োগ করে এর ৩৫ শতাংশ মালিকানার বিপরীতে লভ্যাংশ পেয়েছে কেপিসিএল। তবু আয়ে ধস নেমেছে।

গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন এই সম্পদ ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা।

এই লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ঠিক করা হয়েছে আগামী ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর।

গত কয়েক মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারধারীরা ভীষণ উৎকণ্ঠিত। এর দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নতুন করে দুই বছরের জন্য অনুমোদন পেতে যাচ্ছে- এই বিষয়টি নিশ্চিত হলেও চুক্তি কবে হবে, তা নিয়ে কোম্পানি বা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি।

যে আইনের অধীনে কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকার সেই আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ায়। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কেপিসিএলসহ চারটি কোম্পানির আলোচনা হয়।

তবে ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা সেদিন ফলপ্রসু হয়নি। এরপর আরও বৈঠকের কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিক আলোচনা আর হয়নি। নানা সময় কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎসচিবসহ নানা জনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু সবশেষ অগ্রগতির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেপিসিএল ছাড়াও তিনটি কোম্পানির পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম নিয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারদরে। মাস ছয়েক আগে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক পর্যায়ে ৩১ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর আইনের মেয়াদ বাড়ানো হলে চুক্তির সম্ভাবনায় তা আবার ৫২ টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু গত এক মাস ধরেই শেয়ারদর কমতে শুরু করেছে।

লভ্যাংশ ঘোষণার দিন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা বেশ লোকসানে আছেন। সে সময় গড়ে ২১৪ টাকা করে শেয়ার বিক্রি হয়। এরপর বোনাস শেয়ার হিসাব করলেও কোম্পানিরা বিপুল লোকসানে আছেন।

তালিকাভুক্তির বছরে ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে।

এরপর ২০১০ সালের জন্য ২০ শতাংশ, ২০১১ সালের জন্য ২৫ শতাংশ, ২০১২ সালের জন্য ১২.৫ শতাংশ, ২০১৩ সালের জন্য ৫ শতাংশ এবং ২০১৮ ও ২০১৯ সালের জন্য আবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে। এই হিসাবে শেয়ারের দাম পড়েছে ৮৬ টাকা ৯০ পয়সা।

২০১৬ সাল থেকে কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশে জোর দিয়েছে। ওই বছর শেয়ার প্রতি সাড়ে ৭ টাকা, পরের বছর সাড়ে ৫ টাকা, ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি ৩ টাকা নগদ, ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা এবং গত বছর ৩ টাকা ৪০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কেপিসিএলের শেয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনেই চলেছেন। মে ও জুনে তারা কোম্পানির শেয়ারের প্রায় সবগুলো বিক্রি করে দিলেও টানা তিন মাস ধরে শেয়ার কিনে চলেছে।

জুলাইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৩ কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৫টি, আগস্টে ১১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৮টি ও সেপ্টেম্বরে ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার ১২টি শেয়ার কিনেছে।

সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৯.৯৯ শতাংশ ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ৯.৫৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ছিল ০.১৮ শতাংশ। বাকি ২০.২৪ শতাংশ ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

এ বিভাগের আরো খবর