সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন কোয়ারপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। এতে নৌকার প্রার্থীর ছেলেসহ উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, বৈকারী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আবু মো. মোস্তফা কামাল সন্ধ্যার দিকে সাতক্ষীরা থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে এলাকায় যান। পথে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন কোয়ারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছেলে ইনজামুল হক ইনজা নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে।
ওই সময় টহলরত সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিকেলে মোটরসাইকেলে করে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় যাচ্ছিলাম। এ সময় অসলের ছেলে ইমজাসহ সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
‘এতে আমার কমপক্ষে ৯ কর্মী আহত হয়। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা বৃহস্পতিবার সকালেও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।’
নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলে বলেন, ‘মোস্তফা কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার দুই ছেলে ইনজা ও হৃদয়সহ কমপক্ষে ৮ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে। রাতে আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।