বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেগমগঞ্জের ঘটনায় ৩ পুলিশকে বরখাস্তের নির্দেশ

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:১৮

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, বেগমগঞ্জের ঘটনায় তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চৌকিদারকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডিসচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অবহেলার দায়ে ওই থানার সাবেক ওসিসহ তিন পুলিশ এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও অনীক আর হক। তাদের সঙ্গে ছিলেন শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন, বেগমগঞ্জের ঘটনায় তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চৌকিদারকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডিসচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়।

ওসি কামরুজ্জামান ছাড়া অন্যরা হলেন এসআই হাবিবুর রহমান, এএসআই মফিজুল ইসলাম এবং স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও চৌকিদার আলী আসগর।

গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর এ-সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

এ ছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীর বক্তব্য গ্রহণে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কি না, তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দেয় আদালত।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটিতে ছিলেন জেলা সমাজসেবা অফিসার ও চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ। কমিটিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পাশাপাশি আদালত রুল জারি করে।

আদালতের নির্দেশে কমিটি তদন্ত করে প্রশাসনের অবহেলা পায় উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর আদালতের জারি করা রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূর (৩৫) বসতঘরে ঢুকে স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগী একদল যুবক। ওই সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করে।

ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।

পরে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

এ বিভাগের আরো খবর