নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এই জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জিহাদুল হক রঞ্জু ও ঝলক মিয়া, সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ঢাবি শাখার সাবেক সহসম্পাদক আল ইমরান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী শাহাদাত হোসেন, বিএনপি কর্মী সজিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের শেরে বাংলা নগর থানার সভাপতি আতিকুর রহমান অপু, যুবদল কর্মী হাসান আলী, ছাত্রদল কর্মী মুতাছিম বিল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গাজী সুলতান জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল নেতা রেজাউল ইসলাম প্রিন্স, বিএনপি কর্মী শুক্কুর এবং আবুল হোসেন হাওলাদার আশিক।
বুধবার এ মামলার ৫০ আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মনজুরুল হাসান খান। এদের মধ্যে ১৫ জনের সাত দিন করে রিমান্ড এবং ৩৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রিমান্ড শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত রিমান্ড শুনানির দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শুনানিকালে ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ আরো কয়েক জন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
২৭ অক্টোবর সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সেই সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সমাবেশ থেকে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশ মামলা দায়ের করে। মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ ৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।