পণ্য সরবরাহ না করে গ্রাহকদের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজ্জাদ ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী হাতিরঝিল থানায় গত ৭ অক্টোবর মামলাটি করেন। এতে অভিযোগ করা হয়, ই-অরেঞ্জের চমকপ্রদ অফার দেখে তিনি, তার ভাই ও এক বন্ধু আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়। কিন্তু ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ পণ্য সরবরাহ না করে অর্থ আত্মসাত করেছে।
এ মামলায় তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ওইদিনই আবেদন করেন হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দেবনাথ। আসামিদের উপস্থিতিতে ২৮ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ বৃহস্পতিবার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামিদের জামিন চান। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট গুলশান থানায় একটি মামলা করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। ওই দিনই সোনিয়া মেহজাবিন এবং তার স্বামী মাসুকুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালত জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ।
এই তিন আসামিকে ২৩ আগস্ট ৫ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর কয়েকটিতে রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।