জয়পুরহাট সদরে অটোরিকশার চালক হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী বাজার থেকে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার তিলাবদুল পূর্বপাড়া গ্রামের ট্রাকচালক রশিদুল ইসলাম ও তার সহকারী রুবেল হোসেন।
নিহত অটোচালক শফিকুল ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার খাসপাহনন্দা গ্রামে।
এসপি মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ি সড়কের পাইকড়তলী এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে শফিকুল ইসলামের গলাকাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই শফিকুলের বাবা নিলু ফকির বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার পর থেকে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এসপি জানান, ২৪ অক্টোবর বিকেলে ক্ষেতলালের বটতলী বাজারে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তারা। পরে তারা জয়পুরহাট শহরের পৃথিবী কমপ্লেক্স মার্কেটের সামনের স্ট্যান্ড থেকে মঙ্গলবাড়ি যাওয়ার কথা বলে শফিকুলের অটোরিকশা ভাড়া নেন।
ওই দিন তারা অটো নিয়ে নওগাঁর ধামুরহাটের আলতাদীঘি ঘোরেন। পরে রাত ৯টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শফিকুলকে গলা কেটে হত্যার পর দেহ ধানক্ষেতে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।
আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা, পাঁচটি ব্যাটারি, রশি ও হত্যাকাণ্ড ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এসপি আরও জানান, ট্রাকচালকের পরিচয়ে রশিদুল গং অটোরিকশা ছিনতাই করত। রশিদুল ও রুবেলের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল ও ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা এবং মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান এসপি।