বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নগদ-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বিকাশ কর্মীদের আদালতে তলব

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৪

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের অর্গানাইজ ক্রাইম ইউনিটের এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ নির্দেশ দেন।

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ’কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ‘বিকাশ’-এর কর্মীদের তলব করেছে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।

বৃহস্পতিবার পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআিই) এর অর্গানাইজ ক্রাইম ইউনিটের এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিচারক আবু সুফিয়ান মো. নোমান এ নির্দেশ দেন।

পিবিআিইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, বিকাশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত অনুযায়ী বিকাশের বিজনেস ক্লাস্টার হেড নাজমুল করিম ও রিজিওনাল ম্যানেজার আব্দুহ সুফীর নম্বর থেকে ‘সেন্ট্রাল নর্থ ক্লাস্টার’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে অপপ্রচারে নেতৃত্ব দেয়া হয়। পরে সে গ্রুপ আবার মুছেও ফেলেন তারা।

গত ২৩ জুন প্রস্তুত করা এই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মিথ্যা অপপ্রচার ও মানহানিকর গুজব ছড়িয়ে নগদের সুনাম নষ্ট এবং আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধন করা করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অংশীদারত্বে পরিচালিত নগদ লিমিটেডকে জনসম্মুখে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, নগদ হাজারে ১১ টাকা চার্জ নেয়ার কারণে অতি অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত প্রসার লাভ করে এবং জনগণের মধ্যে সুনামের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। পাশাপাশি বিকাশ হাজারে সাড়ে ১৮ টাকা চার্জ নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। ফলে নগদ সহজেই প্রসার লাভ করতে শুরু করে। আর তাতেই বিকাশ ঈর্ষান্বিত হয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সরকার, সেনাবাহিনী ও সরকারি সেবার বিরুদ্ধে একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে লিফলেট বিলি করছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালতে অজ্ঞত ১০ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করে নগদ।

নগদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআইকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।

সে সময় সারা দেশে অন্তত তিন লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলেও নগদের পক্ষ থেকে বলা হয়।

নগদ-এর অপপ্রচার করে বিতরণ করা লিফলেট

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজমুল করিম ও আব্দুহ সুফীর মোবাইল নম্বর দিয়ে করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে অন্যদের লিফলেটগুলো সরবরাহ করা হয়।

পিবিআই-এর তদন্ত কর্মকর্তা, নাজমুল করিম ও আব্দুহ সুফীকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, ‘চাকরির স্বার্থে ও বিকাশ কোম্পানিকে আর্থিকভাবে লাভবান করার জন্য তারা নগদ লিমিটেডকে হেয়প্রতিপন্ন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্যে এহেন কাজটি করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।’

পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আরও বলছে, ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে এমএফএস অপারেটর নগদ নিয়ে একটি নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবরটি কৌশলগত দিক অবলম্বন করে পরস্পর যোজসাজশে পরিকল্পিতভাবে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নগদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও মানহানিকর গুজব ছড়িয়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট এবং আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধন করা করা হয়েছে।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মেছবাউদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরটির ভিত্তিতে তারা কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করে আরও চটকদার করে লিফলেট আকারে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন বিকাশ ও নগদ এজেন্ট পয়েন্টে বিতরণ করে নগদের সুনামসহ আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতিসাধন করে।

এ বিষয়ে বিকাশের বক্তব্য জানতে নানাভাবে চেষ্টা করে নিউজবাংলা, কিন্তু তাদের সারা পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর