বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিন্দুদের ওপর হামলা: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১৫:০৫

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

কুমিল্লায় দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।

একই সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস রিট করেন।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

আদেশের বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে দেশের ছয়টি জেলায় হামলার ঘটনা তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে প্রত্যেক জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘একই সঙ্গে এই হামলা থেকে পূজা মণ্ডপ, মন্দির, বাড়িঘরসহ মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।’আদালত কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও চাঁদপুর জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে হামলার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করা হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, পুলিশপ্রধান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর, ফেনীর ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির উত্তরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার পর শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য, তবে আলোচিত মণ্ডপের পূজার আয়োজকরা বলছেন, সেখানে পবিত্র কোরআন শরিফ কী করে এলো সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা নেই।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে নোয়াখালীর চৌমুহনী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপ, মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর