বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘খুনের পর থেকে খেতে-ঘুমাতে পারি না’

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:২৩

পিবিআই কর্মকর্তা কামাল আব্বাস বলেন, “নজরুল নিজেকে খুনি দাবি করে বলেন, ‘আমি খুনি; এই খুনের পর থেকে আমি ঠিকমতো খাইতে পারি না, ঘুমাইতে পারি না, কিচ্ছু করতে পারি না। আমি এই খুনের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। আমাকে গ্রেপ্তার করেন'।”

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাবা-ছেলে হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততা দাবি করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন এক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

পিবিআইয়ে বাবা-ছেলে হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন উপপরিদর্শক কামাল আব্বাস। তিনি বুধবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার রাতে নজরুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি কার্যালয়ে হাজির হন। তিনি জানান, তার বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে।

কামাল আব্বাস বলেন, “মঙ্গলবার রাতে তিনজন লোককে সঙ্গে নিয়ে ওই লোক (নজরুল) অফিসে এসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি নিজেকে খুনি দাবি করে বলেন, ‘আমি খুনি; এই খুনের পর থেকে আমি ঠিকমতো খাইতে পারি না, ঘুমাইতে পারি না, কিচ্ছু করতে পারি না। আমি এই খুনের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। আমাকে গ্রেপ্তার করেন'।”

কামাল জানান, নজরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার সকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

কামাল আরও জানান, খুনের ঘটনায় ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর থেকে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন আবুল কালাম আবু, সোলতান আহমেদ, বাহাদুর, মহিউদ্দিন ও রমজান আলী।

এই পাঁচজনসহ নজরুলকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছে।

এর আগে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. ফিরোজ, সালাহ উদ্দিন ওরফে মন্নান ও মো. এখলাস নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তারা ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

এর মধ্যে মো. ফিরোজ গত ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নে দুইদ্যা খাল থেকে ফকির আহমেদের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরের দিন ফটিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা এজহার মিয়া।

খুনের ৯ মাসেও পুলিশ কাউকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে না পাড়ায় মামলাটির তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেন এজহার মিয়া।

এরপর গত ২৫ জুন কাঞ্চননগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঞ্চননগরের গরজইজ্ঞা থেকে এজহার মিয়ার গলা কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ জুন নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম ফটিকছড়ি থানায় আরেকটি হত্যা মামলা করেন।

পিবিআই জানায়, সংস্থাটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেলে আর রক্ষা নেই, এই চিন্তা করে এজহার মিয়াকেও খুন করার সিদ্ধান্ত নেন ফকির আহমেদকে খুনের মামলার আসামিরা।

দুই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা কামাল আব্বাস।

এ বিভাগের আরো খবর