বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে মহামারিতে সচল অর্থনীতি

  •    
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ০২:১০

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সময় লাগবে না। তিনি দেশ ও জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনীতি করেন। আর রাজনীতিকে যারা ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে নেয়, তারা ভয়াবহ। এতে রাজনীতি থাকে না, ব্যবসাও হয় না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা খুলে দেয়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। কিন্তু সে সিদ্ধান্তের সুফল পাচ্ছে দেশ। রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে তৈরী পোশাক খাত। সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তে করোনাতে সচল ছিল অর্থনীতি। যার ফলে শিল্প বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার এক সভায় এসব বিষয় তুলে ধরেন আলোচকরা।

আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজন করেছিল ‘করোনাকালীন শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: নিউজবাংলা

প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সময় লাগবে না। তিনি দেশ ও জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে রাজনীতি করেন। আর রাজনীতিকে যারা ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে নেয়, তারা ভয়াবহ। এতে রাজনীতি থাকে না, ব্যবসাও হয় না।

‘করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। শুধু বর্তমান নিয়ে নয়, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ায় কাজ করছেন তিনি।’

কাদের বলেন, ‘দেশে উন্নয়নকাজ চলছে, তাতে মানুষের সাময়িক সমস্যা হলেও ফলাফল হবে জনবান্ধব। আগামী বর্ষার আগেই জনদুর্ভোগ শেষ হবে। সীমান্তসহ দেশব্যাপী যোগাযোগ খাতের যুগান্তকারী উন্নয়ন হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদের সভাপত্বিতে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়াও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচকরা বলেন, ‘করোনার মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে জন্য ঘোষণা করা হয় প্রণোদনা প্যাকেজ। খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

‘সব শিল্পমালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিপর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সবসময় সহায়তা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘করোনায় শত সমালোচনার পরেও পোশাক শিল্পের পাশে ছিলেন শেখ হাসিনা। যার ফলে এই শিল্প আজ রের্কড গড়তে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের কারণে এ শিল্পে মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে। কারণ, একবার বাজার হারালে সেটা ফিরে পাওয়া কঠিন ছিল।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘করোনায় সব দেশে যখন হিমশিম অবস্থা, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখতে দূরদর্শী মতামত দিয়েছেন। অল্প সময়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। ব্যবসা খাতে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হলেও প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে নতুন জীবনীশক্তি তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ী, মালিক, শ্রমিক সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে জীবন-জীবিকার চাকা আবার ঘুরতে শুরু করেছে।’

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘মানুষের জীবন-জীবিকায় অনিশ্চয়তা দেখা দেয়আয় প্রধানমন্ত্রী তিন বছর মেয়াদি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতা বাড়ানো, বাজারে ব্যাপক টাকার সরবরাহ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষিতে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন গবেষণায় তিনি বিনিয়োগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা সহজেই মহামারি মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।’

মো. জসিম উদ্দিন বলেন,‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় করোনাতে কোনো কার্যক্রম থেমে থাকেনি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে জুম মিটিং করে সমস্যা সমাধান করা গেছে। আমাদের এগিয়ে যেতে এখন বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। ১০০ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ পলিসি করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর