বুধবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে কয়টি কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে এক ঝাঁক কোম্পানি গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেশ কিছু কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে নগণ্য পরিমাণে। দুটি কোম্পানি বড় অঙ্কের লোকসান দিয়েও লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। দুটি কোম্পানি মুনাফায় থেকেও লভ্যাংশ দেয়নি।
এদিন অন্তত ৩৭টি কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যেসব কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি
উসমানিয়া গ্লাস
রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি উসমানিয়া গ্লাস শিট শেয়ার প্রতি ৬ টাকা ৬৬ পয়সা লোকসান দিয়ে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭টাকা ২১ পয়সা। কোম্পানিটি তিন বছর ধরেই কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না।
ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড
প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি এবার মুনাফা করেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি আয় করেছে ৮ পয়সা। গত বছর আয় ছিল ৫১ পয়সা। সে বছর লভ্যাংশ ছিল ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার।
জেনারেশন নেক্সট
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ পয়সা। গত বছরও একই পরিমাণ আয় করে লভ্যাংশ দেয়নি তারা। ২০১৯ সালের পর থেকে কোম্পানির কোনো লভ্যাংশ পায়নি শেয়ারধারীরা।
কেপিপিএল
তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা লোকসানে থাকা খুলনা পেপার মিল শেষ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৬ টাকা ১২ পয়সা। ২০১৪ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৭ সাল থেকেই লোকসানে। তবে গত চার বছর মিলিয়েও এ বছরের সমান লোকসান দেয়নি কোম্পানিটি।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক
২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই। প্রায় প্রতি বছর বড় অঙ্কের লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবার শেয়ারপ্রতি ৮ টাকা ২৬ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছরে লোকসান ছিল ৭ টাকা ৬৭ পয়সা।
মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ
একই গ্রুপের এই কোম্পানিটিও এক দশকেও মুনাফার মুখ দেখেনি, লভ্যাংশও দেয়নি। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৩৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর লোকসান ছিল ৩০ পয়সা।
দুলামিয়া কটন
বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি লোকসানের বৃত্ত থেকে এবারও বের হতে পারেনি।
গত জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর এই লোকসান ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
আর এন স্পিনিং
আগের দুই বছরের মতো এবারও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় লোকসান কমাতে পেরেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত তাদের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৮৮ পয়সা।
রেনউইক যগেশ্বর
রাষ্ট্রায়ত্ত এই কোম্পানিটি এবার লোকসান কমাতে পারলেও লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৩ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছরও শেয়ার প্রতি ৩২ টাকা লোকসান দেয়ার কারণে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি কোম্পানিটি।
শ্যামপুর সুগার
বরাবরের মতোই এবারও বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়ে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই চিনিকলটি। গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি লোকসান দিয়েছে ১২৫ টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ১২১ টাকা ৩৮ পয়সা।
জিলবাংলা সুগার
এই কোম্পানিটিও প্রতি বছরের মতো বিপুল পরিমাণ লোকসান দিয়েছে। এবার শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১১৫ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল শেয়ারে লোকসান ছিল শেয়ারে ১১০ টাকা ৯২ পয়সা।
স্টাইলক্রাফট
বস্ত্র খাতের আলোচিত এই কোম্পানিটির শেয়ারদরে উল্লম্ফন হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য এসেছে হতাশার খবর। কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৯৩ পয়সা লোকসান দিয়ে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৪৮ পয়সা।
সাভার রিফ্রাকটরিজ
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ার প্রতি ৯২ পয়সা লোকসান দেয়ার পর। আগের বছর শেয়ারে লোকসান ছিল ১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি গত দুই দশকেও লভ্যাংশ দেয়নি। তবে শেয়ার মূল্য খুবই উচ্চ।
৫ শতাংশ বা তার কম লভ্যাংশ যেগুলোর
আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস
কোম্পানিটি অর্ধবার্ষিকে ১ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দেয়ার পর সেটিকেই চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ২৬ পয়সা আয় করতে পেরেছে। আগের বছর তাদের লোকসান ছিল ৯৩ পয়সা।
ইভিন্স টেক্সটাইল
বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ পয়সা। কিন্তু লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০ পয়সা করে।
কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ারে ১৪ পয়সা লোকসানে ছিল। শেষ প্রান্তিকে তারা ১৫ পয়সা আয় করে।
অগ্নি সিস্টেমস
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এই কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ ৩.৫ শতাংশ। এর পুরোটাই নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে পাবেন ৩৫ পয়সা করে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অগ্নি ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৭৭ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৩১ পয়সা।
কেঅ্যান্ড কিউ
কোম্পানিটি এবার ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার পাবেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের বছর আয় হয়েছিল ৪৪ পয়সা।
হামিদ ফেব্রিক্স
কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। কিন্তু রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই লভ্যাংশ পাবেন কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। উদ্যোক্তা-পরিচালকরা কোনো টাকা নেবেন না।
গত বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৪২ পয়সা আয় করে এক টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ
কোম্পানিটি এবার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর অর্ধেক বোনাস ও অর্ধেক নগদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ২৫ পয়সার পাশাপাশি প্রতি ২০০ শেয়ারে ৫টি বোনাস শেয়ার পাবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত তসরিফা শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৬৪ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৮৭ পয়সা লোকসান দিয়েছিল। সে বছর লভ্যাংশ দেয়া হয়নি।
সিলফা ফার্মা
কোম্পানিটি এবার ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ৫০ পয়সা।
এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৮৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৮৭ পয়সা।
১০ শতাংশ লভ্যাংশ
শেয়ার প্রতি এক টাকা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এগুলো হলে:
মালেক স্পিনিং
লোকসান থেকে বের হয়ে এসে আয়ে চমক দেখাল কোম্পানিটি। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৩ টাকা ৩৬ পয়সা। গত অর্থবছরে লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা।
সায়হাম কটন
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৬৪ পয়সা লোকসান দিয়েছিল কোম্পানিটি। ওই বছর কোনো লভ্যাংশ পায়নি বিনিয়োগকারীরা।
রানার অটোমোবাইল
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ২ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আয় বাড়াতে পারলেও কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছে আগের বছরের সমান।
সিনোবাংলা
বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন এক টাকা করে। এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩১ পয়সা।
এইচ আর টেক্সটাইল
কোম্পানিটি যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার অর্ধেক নগদ ও অর্ধেক বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা এবং ৫ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ প্রতি ২০টি শেয়ারে একটি শেয়ার পাবেন।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ছিল ১১ পয়সা।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস
কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, অর্থাৎ অর্থাৎ প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৫১ পয়সা।
১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ
ভিএসএফ থ্রেড
কোম্পানিটি এবার ১১ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা লভ্যাংশ নেবেন না।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা।
আরগন ডেমিন
কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি নগদ এক টাকা এবং প্রতি ২০টি শেয়ারের বিপরীতে দেয়া হবে একটি শেয়ার।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।
সাইফ পাওয়ারটেক
কোম্পানিটি এবার শেয়ারধারীদের ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ দেয়া হবে নগদ আর ৬ শতাংশ দেয়া হবে বোনাস। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি ১ টাকার পাশাপাশি প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ৬টি শেয়ার পাবেন।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করতে পেরেছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৬৭ পয়সা বা ৬২ শতাংশ।
রহিম টেক্সটাইল
১৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার প্রতি পাবেন ১ টাকা ৬০ পয়সা করে।
গত বছর কোম্পানিটির আয় ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। এবার আয় কিছুটা বেড়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত রহিম শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৭৫ পয়সা।
হাওয়েল টেক্সটাইল
কোম্পানিটি এবার বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২ টাকা করে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ০১ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ২ টাকা ৩১ পয়সা।
এমআই সিমেন্ট
কোম্পানিটি এবার ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
সমাপ্ত অর্থবছরের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ টাকা ৭৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৮৯ পয়সা।
জেএমআই সিরিঞ্জ
কোম্পানিটি এবার ৩০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি তিন টাকা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ৪ টাকা৩ পয়সা। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ৪ টাকা ৩৫ পয়সা।
শাহজিবাজার পাওয়ার
বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিটি এবার ২৮ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা একেকটি শেয়ারের বিপরীতে ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ৪টি শেয়ার পাবেন।
২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি একেকটি শেয়ারের বিপরীতে আয় করেছে ৬ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৪ টাকা ৩৮ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ইউনাইটেড পাওয়ার
বিদ্যুৎ খাতের এই কোম্পানিটি এবার শেয়ার প্রতি ১৭ টাকা অর্থাৎ ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১১ টাকা ২৬ পয়সা।