বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মসংস্থান বাড়াতে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ১৭০০ কোটি টাকা

  •    
  • ২৭ অক্টোবর, ২০২১ ২২:২৭

বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ক্ষুদ্র যুব উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেয়া হবে। কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এদের কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে সবাই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারেন। এসব সেবা দিতে ৩২ জেলায় কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পাঁচ বছর গ্রেস সময়সীমাসহ ৩০ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের শহরের যুব উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত শ্রমিকদের সহায়তায় ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় গত মার্চে এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের পর বুধবার ঢাকায় চুক্তি সই হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংশ্লিষ্ট সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন ঋণচুক্তিতে সই করেন।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে এই ঋণ পাবে মূলত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত যুবসমাজ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত ব্যক্তিরা।

বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ আসবে ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সডমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর ইম্পলয়মেন্ট’ প্রকল্পের আওতায়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের যুব সম্প্রদায় এবং বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনা সংকটে দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ে। যা কর্মসংস্থানেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একই সঙ্গে চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকেও অনেকে দেশে ফিরে আসেন। সেই অবস্থা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই কর্মসংস্থান তৈরিতে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে।

ঋণের ২০ কোটি ডলারের মধ্যে ১৫ কোটি ডলার বিতরণ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন। ৫ কোটি ডলার খরচ করবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।

পিকেএসএফের ঋণ সহায়তা পাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের স্বল্পশিক্ষিত যুব সম্প্রদায় ও তরুণ উদ্যোক্তারা। সফলভাবে শ্রমবাজারে ঢুকতে পিকেএসএফ তাদের সঠিক তথ্য ও প্রশিক্ষণ দেবে। যুবকরা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষানবিশ হিসেবে ‘অন দ্য জব ট্রেইনিং’-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ পাবে।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিদেশফেরত শ্রমিকদের নিয়ে দুই ধরনের কাজ করবে। একদিকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি জন্য তাদের ভেতর থেকে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে স্থানীয় শ্রমবাজারে ঢুকতে সহায়তা করবে। আবার নির্দিষ্ট দক্ষতা বাড়িয়ে বিদেশের শ্রমবাজারে ফের অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করা হবে।

পাঁচ বছর গ্রেস সময়সীমাসহ ৩০ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে পাঁচ বছর শুধু ঋণের মূল টাকা পরিশোধ করতে হবে। তারপর থেকে সুদ ও আসল দিতে হবে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ক্ষুদ্র যুব উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেয়া হবে। কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এদের কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে সবাই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারেন। এসব সেবা দিতে ৩২ জেলায় কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনার প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর